ঝিনাইদহ জেলা



বাংলাদেশের অন্যতম জনবহুল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও জেলা সমূহের অন্যতম এই ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহ এক সমৃদ্ধ জনপদ। মরমী কবি লালন শাহ্, পাগলা কানাই, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বীরপ্রতীক সিরাজুল ইসলাম, বিপ্লবী বীর বাঘাযতীন, গণিত শাস্ত্রবিদ কে.পি.বসু, কবি গোলাম মোস্তফা, বারো আউলিয়ার আর্শীবাদপুষ্ট বারোবাজার, গাজী-কালূ-চম্পাবতির উপাখ্যান, কুমার-কপোতাক্ষ, চিত্রা, বেগবতী, নবগঙ্গাঁ নদী আর খেজুর গুড়, কলা-পানের প্রাচুর্য মন্ডিত এই ঝিনাইদহের রয়েছে সুপ্রাচী ঐতিহ্য।

ঝিনাইদহ জেলাটি গঙ্গাঁর দুই শাখা নদী পদ্মা ও ভাগীরথীর সংযোগে গঠিত গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের অংশ বিশেষ বলে জানা যায়। টলেমির মানচিত্রে গাঙ্গেঁয় বদ্বীপের দক্ষিণাংশে নদী-নালা পরিবেষ্টিত যে ভূমির অস্তিত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। ঝিনাইদহের আদি বসতি সেখানেই গড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় খৃষ্টাব্দের গোড়ার দিকে এর অস্তিত্ব ছিল।প্রাচীন যুগেও বিভিন্ন শাসনামলে ঝিনাইদহের স্থায়ী জনবসতি এবং সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার অস্তিত্বের ইংগিত পাওয়া যায়। ষষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে ঝিনাইদহ অঞ্চলটি বঙ্গ তথা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এই জেলায় ১৩টি নদী, ২৯টি বাওড়, ৪২টি বিলসহ অসংখ্য নদ-নদী, হাওড়, বিল-বাওড় এর অস্তিত্ব ছিল এবং এর প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নদী পথ। এই নদী পথের পাশেই শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল যার অস্তিত্ব এখনও বহন করছে। গড়াই, কালী, ডাকুয়া ও কুমার নদের পাড়ে শৈলকুপা, কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কোটচাঁদপুর, চিত্রা নদীর পাড়ে কালিগঞ্জ, কোদলা, ইছামতি, বেতনা নদীর মাঝে মহেশপুর ও নবগঙ্গা পাশ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে জন্ম নিয়ে নবগঙ্গা নদী হরিণাকুন্ডু ও ঝিনাইদহের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে মাগুরার দিকে। এই নবগঙ্গাঁ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা শহর। পূর্বের মহকুমা প্রশাসক ও বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাংলোটি আসলে জেলখানার জেলারের কোয়ার্টার ছিল।
মহকুমা প্রশাসকের বাংলো নবগঙ্গা নদী গর্ভে বিলীন হলে জেলারের এই কোয়ার্টারকে মহকুমা প্রশাসকের বাংলো করা হয়।
১৭৫৭ সালের পর ১৭৮১ সালে ঝিনাইদহ সরাসরি ইংরেজ শাসনের অধীনে চলে যায়। এই বছরই যশোরের মুরলীতে ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তাদের অফিস বা কোর্ট স্থাপন করে।
যশোর, খুলনা, ফরিদপুর জেলাকে এর অধীনে আনা হয়। ওই কোর্টের প্রথম জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন টিলম্যান হেংকল। ওই সময় ইংরেজরা জবরদস্তিমূলকভাবে ঝিনাইদহে নীলচাষে কৃষকদের বাধ্য করে। কৃষকদের চরম দুর্গতি এবং তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হলে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। পরিশেষে নীল চাষ বন্ধ হয়।
ওইসব ঘটনার ফলে ইংরেজ আমলে ১৭৯৩ সালে প্রথমে ঝিনাইদহে পুলিশ ফাঁড়ি। পরবর্তীতে থানা এবং ১৮৬০-৬১ সালের দিকে ঝিনাইদহ প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Time Publication এর Bangladesh Dictionary 1978-তে -এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- "Jessore has undergone a long series of changes with regard to its area. In 1860-61 separate sub-division were created with headquarters at Khulna, Jhenaidah, Magura, Narail and Jessore"
অন্য একটি সরকারী তথ্যে বলা হয় ‘‘The Sub-division was later abolished in the rearrangement made in 1863.
অপর আর একটি সূত্র মতে, ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহ মহকুমা পর্যায়ে উন্নীত হয়। ঝিনাইদহ মহকুমা হলে ১৮৬৩ সাল তৎকালীন সময়ের বাণিজ্য নগরী বলে খ্যাত কোটচাঁদপুর মহকুমা বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের একটি থানা ও উপজেলা শহর।
১৮৬৩ থেকে ১৯৪৭ সালের পাকিস্থান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের এক দশক পর্যন্ত প্রশাসনিক কাঠামো হিসেবে ঝিনাইদহে মহকুমা বিদ্যমান ছিল। প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব বি. এলেন ও শেষ মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শফিউল করিম। এর পর ১৯৮৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলায় উন্নীত হয়। প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব জেড, এম, রফিক ভুঁঞা।
তথ্যের উৎসঃ
১. ঝিনেদার ইতিহাস
২. ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলা পরিচিতিঃ
নামকরনঃ
প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর পশ্চিম দিকে নবগঙ্গাঁ নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জনশ্রুতি আছে। সে সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গেঁর কোলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সংগ্রহের জন্যে এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির এই স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলা হতো। সে সময় ঝিনুক থেকে মুক্তা সংগ্রহের মাধ্যমে এবং ঝিনুক পুড়িয়ে চুন তৈরী করে তা বিক্রি করে মানুষ অর্থ উপার্জন করতো।
অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই, ঝিনাই এবং দহ অর্থ বড় জলাশয় ও ফার্সি ভাষায় দহ বলতে গ্রামকে বুঝানো হতো। সেই অর্থে ঝিনুকদহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম বুঝাতো। আর এই ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ, যা- রূপান্তরিত হয়ে আজকের ঝিনাইদহ নামকরন হয়েছে।
অন্য কিংবদন্তি থেকে জানাযায়, এক ইংরেজ সাহেব এই এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে নবগঙ্গাঁ নদী পর হচ্ছিলেন। অনেক লোকজন তখন নদী থেকে ঝিনুক সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ছিল। উপস্থিত লোকদের কাছে সাহেব তখন এলাকাটির নাম জানতে চান। লোকেরা তার কথা বুঝতে না পেরে ভেবে নেন যে নদী থেকে তারা কি জিনিস তুলছে তার নাম জানতে চাচ্ছেন। এই মনে করে লোকেরা সাহেবকে বলেন ঝিনুক বা ঝিনেই। এতে ইংরেজ সাহেব ধরে নেন জায়গাটির নাম ঝেনি। এই ঝেনি শব্দটি পরে ঝেনিদা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ঝিনাইদহকে আঞ্চলিক ভাষায় এখনও ঝিনেদা বলা হয়। ঝেনিদা, ঝিনেদা আর ঝিনাইদহ যাই বলা হোক না কেন ঝিনাইদহ নামের উৎপত্তি যে ঝিনুক থেকে তা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য।
ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ গ্রন্থে ঝিনাইদহ সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘‘বারো আউলিয়ার আর্শীবাদপুষ্টঃ গাজী-কালূ-চম্পাবতীর উপখ্যানধন্য; কে.পি. বসু, গোলাম মোস্তফার স্মৃতি বিজড়িত; বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বিপ্লবী বীর বাঘাযতীনের শৌর্যময়; খেজুর গুড়, কলা-পানের প্রাচুর্যমন্ডিত; পাগলাকানাই, লালন শাহের জম্মস্থান, কপোতাক্ষ, বেগবতী, চিত্রা, নবগঙ্গাঁর ঝিনুকদহ এক কথায় নাম তার ঝিনাইদহ।’’
ঝিনাইদহের নামকরনের ন্যায় এর অপর ৫টি উপজেলারও রয়েছে নাম করনের বৈচিত্রময় ইতিহাস।
শৈলকুপাঃ
শৈলকুপার কুমার নদীতে একসময় নাকি প্রচুর পরিমানে শৈলমাছ পাওয়া যেত এবং তা সাধারণ কুপিয়ে মারা হতো। এজন্যেই এর নাম হয় শৈলকুপা। আবার অন্যদের মতে এখানে শৈলগুল্প বেশী থাকার কারনে এ অঞ্চলকেব শৈলকুপা নামে অভিহিত করা হয়। শৈলকুপা বহু পূর্বে ফরিদপুর জেলার মধ্যে ছিল।
মহেশপুরঃ
ভৈরবের তীরে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলার আদিনাম যোগীদহ। পরবর্তীতে ১১০৭ সালে হিন্দু দেবতা মহেশপুর ঠাকুরের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আদিনাম পরিবর্তিত হয়ে মহেশপুর হয়। কেউ কেউ বলেন রাজা মহেশ চন্দ্রের নামানুষারে এলাকার নাম মহেশপুর হয়। অন্য জনশ্রুতি হল ঐ অঞ্চলের রাজত্ব এক জেলে রাজার হস্তগত হলে তার ছেলে ‘‘মহেশ’’ এর নামানুষারে মহেশপুর নামকরন হয়। মহেশপুর ভারতের বনগাঁও মহাকুমার একটি অন্যতম অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে মহেশপুর ঝিনাইদহ মহাকুমার অন্তর্গত হয়। মহেশপুরকে খাদ্যভান্ডার বা রত্নভান্ডার বলা হয়।
কালীগঞ্জঃ
কালীগঞ্জ উপজেলার নামকরনের পিছনে জনশ্রুতি আছে তা হলো এই বাজারে বিখ্যাত কালিমন্দিরকে অবলম্বন করেই কালীগঞ্জ নাম করন হয়।
কোটচাঁদপুরঃ
জনশ্রুতি আছে, জঙ্গলে ঘেরা এ অঞ্চলে চাঁদফকির নামের এক দরবেশ আস্তানা গড়েন। তার নামে এর নাম হয় চাঁদপুর। মোঘল আমলে ১৬১০ সালে একটি কোর্ট নির্মিত হয়। আর চাঁদপুর নামের আগে কোট শব্দটি বসিয়ে এর নাম হয় কোটচাঁদপুর। বৃটিশ আমলে এখানে কোর্ট ছিল এবং ১৮৬২ সাল পর্যন্ত এটি মহাকুমা বাণিজ্য নগরী হিসেবে খ্যাত ছিল।
হরিণাকুন্ডুঃ
লোকমুখে প্রচার আছে ‘‘অভয়কুন্ড নামে এক ইংরেজ কর্মচারীর অত্যাচারী পুত্র হরিচরন কুন্ডুর নামানুষারে এ অঞ্চলের নাম হয় হরিণাকুন্ডু ।
ঝিনাইদহের প্রাচীন ইতিহাস
ঝিনাইদহ একটি প্রাচীন জনপদ। অসংখ্য কিংবদন্তি, ঐতিহাসিক ঘটনাবলি ও তথ্যাবলীতে সমৃদ্ধ। এই জনপদের সুদীর্ঘ গৌরবময় ইতহাসও অতিপ্রাচীন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সমস্ত আন্দোলনে এ জেলার মানুষের রয়েছে গর্ব করার মত অবদান। শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উর্বর ভূমি এসবই স্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ দান হিসেবে জেলাবাসী মনে করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব, কৃষি-মৎস্য, প্রত্নতত্ব ও ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এই জেলাটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান অধিকার করে আছে এবং অনেক পূর্ব থেকে এটি সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ঝিনাইদহ অঞ্চলটি দূর অতীতে তমাশাবৃত, জঙ্গলাকীর্ণ ও কেয়াবন আচ্ছাদিত ছিল। এসময় অঞ্চলটি সুন্দরবনের বর্ধিতাংশ বলে গণ্য হতো। অনেকে এ অঞ্চলকে সুর্যদ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের পর ইরান-ইরাক-তুরষ্ক ও আফগানিস্থান থেকে অনেক সুফী দরবেশ, পীর-আউলিয়া ধর্ম প্রচারের জন্য ঝিনাইদহে আসেন। তারা এ অঞ্চলের কালীগঞ্জ, বারোবাজার, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ধর্ম প্রচারের সাথে সাথে আবাস গড়ে তোলেন। জেলার বারোবাজার, শৈলুকপা, কোটচাঁদপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের নির্মিত মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপত্যের নিদর্শন আজও পাওয়া যায়।
প্রখ্যাত সাধক মরমী কবি লালন সাঁই, পাগলা কানাই, গণিত বিদ কে.পি. বসু, কবি গোলাম মোস্তফার জন্মস্থান ঝিনাইদহ। বিপ্লবী বাঘা যতীন, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলামের বীরত্বগাঁথা এবং ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধের জেলা ঝিনাইদহ। গাজী-কালু-চম্পাবতীর উপাখ্যানখ্যাত হাওড়, বাওড়-নদী-কলা-পান, খেজুর গুড়, ধান-ফসলের প্রাচুর্যে ভরা খাদ্য ভান্ডার এই ঝিনাইদহ।
প্রাচীন যুগের বিভিন্ন শাসনামলে ঝিনাইদহে স্থায়ী জনবসতি ও সু-সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থার ইংগিত পাওয়া যায়। খ্রীষ্টীয় পঞ্চম শতকে ঝিনাইদহ বঙ্গঁ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল বলে ধারণা করা হয়। ষষ্ট শতকে গুপ্ত রাজ্যের অধীন এবং ঐ শতকের মধ্যভাগে বঙ্গঁগুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন হলে বাংলা বঙ্গঁ বা সমতট এবং গৌড় এই দুটি স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ঝিনাইদহ অঞ্চলটি বঙ্গঁতথা সমতট রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ৭ম শতকে গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক এবং শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সম্রাট হর্ষবর্ধনের অধীনে শাসিত হয়। ৭২৫-৭৩৫ খ্রীষ্টাব্দ সময়কালে কনৌজর রাজা যশোবর্ধন গৌড় ও বঙ্গঁ রাজ্য অধিকার করে নিলে ঝিনাইদহসহ সমগ্র বাংলা তার অধীনে চলে যায়। ৭৮১-৮২১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ঝিনাইদহ পাল রাজবংশের অন্তর্গত ছিল। পল বংশের পতনের পর ১০৮০-১১৫০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্মণরা ঝিনাইদহ অঞ্চল শাসন করে। ১১৫০ সালে বর্মণ রাজবংশ সেন রাজবংশের কাছে পরাজিত হলে ঝিনাইদহ সেন রাজ বংশের কর্তৃত্বে চলে যায়। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খলজি বঙ্গঁ বিজয়ের পর ১২৬৮ থেকে ১২৮১ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মুসলিম রাজ্য তথা দিল্লী সালতানাতের অধীনে লক্ষনাবতীর অন্তর্ভূক্ত হয়।
১৩৪২ সালে সুলতান শাসুদ্দিন ইলয়াস শাহ্ লক্ষনাবতীকে স্বাধীন সালতানাত ঘোষণা করে বাংলাকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোতে আনেন। তাঁর আমলে মুসলিম শাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তন আনা হয়। সেসময় ঝিনাইদহ তার শাসনাধীনে ছিল। মুসলিম শাসনের হুসাইন শাহী আমলেও ঝিনাইদহের প্রশাসানিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল। হুসেইন শাহী বংশের বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সুলতান গিয়াস উদ্দীন মহম্মদ শাহ্ (১৫৩২-১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দ) দিল্লীর পাঠান সুলতান শের শাহের নিকট পরাজিত হলে বাংলা দিল্লীর শাসনাধীনে চলে যায়।
১৫৩৯-১৫৫৩ পর্যন্ত ঝিনাইদহ পাঠান সুলতানদের দ্বারা শাসিত হয়। এরপর ১৫৭৬ সালে দাউদ করোনারীর আমলে বাংলায় মোঘল শাসনের সূচনা হয়। এর প্রায় ৩৬ বছর পর ঝিনাইদহ মোঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। সম্রাট আকবরের আমলে বারো ভূইয়াদের যশোরের এক রাজা ভূমি রাজস্ব আদায়সহ ঝিনাইদহে শাসন কার্য পরিচালনা করতে থাকেন। এসময় রাজা প্রতাপাদিত্য মোঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে ১৬১২ সালে মোঘল সেনাপতি তাকে পরাজিত করে। এইসময় মোঘল আমলে ঝিনাইদহে ভূমি রাজস্ব স্তর ও ফৌজদারীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
সম্রাট শাহজাহানের আমলে যশোরে একটি পৃথক ফৌজদারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং ঝিনাইদহ ঐ ফৌজদারীর অন্তর্ভুক্ত হয়। মোঘল সাম্রাজ্যের অধীনে বাংলার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা প্রাপ্ত সুবাদার মুর্শিদ কুলি খাঁর আমলে ১৭০৩ খ্রীষ্টাব্দের পর সীতারাম রায় নামক একজন ভূ-স্বামীর আবির্ভাব ঘটে এবং ঝিনাইদহের শাসনভার তার হাতে চলে যায়। সীতারামের পতনের পর ১৭১৪ খ্রীষ্টাব্দে যশোর ফৌজদারী চাচড়া, নলডাঙ্গা ও মহম্মদ শাহী এই ৩টি জমিদারির মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। ঝিনাইদহ নলডাঙ্গা ও মহম্মদ শাহী জমিদারীর আওতায় ছিল। এ দু’জমিদারীর প্রশাসনিক কাঠামোর চিহ্ন ঝিনাইদহে আজো রয়েছে।
১৭৫৭ সালের ২৩জুন ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর বেতনভূক্ত সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ এর কাছে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পরাজয় বরণের ফলে বাংলা ও ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত ঘটে। ১৮৮১ সালে ঝিনাইদহ ইংরেজ শাসনের আওতায় আসে। ওই সময় ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানী যশোরের মুরলীতে একটি অফিস বা কোর্ট স্থাপন করেন। বৃহত্তর যশোর, খুলনা, ফরিদপুর জেলাকে ওই কোর্টের অধীনে আনা হয়। এই কোর্টের ১ম জর্জ ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত হন ইংরেজ টিলম্যান হেংকেল। ইংরেজরা ঝিনাইদহের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষীদের ওপর চাপিয়ে দেয় নীল চাষ। ঝিনাইদহের খালিশপুর, বিজুলিয়া, বাঘাডাঙ্গা, সাধুহাটি সহ বিভিন্ন স্থানে নীল কুটি স্থাপন করা হয়। নির্যাতিত চাষীদের নীল বিদ্রোহের ফলে ১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠন হয় ও নীল চাষ বন্ধ হয়। নীল বিদ্রোহে ঝিনাইদহের কৃষকরা বাঁশ কেটে সুচলো করে লোহার ফালা লাগিয়ে চেঙ্গা জোরে ছুড়ে সাহেবদের ঘায়েল করতো।
ঝিনাইদহের রয়েছে বীরত্বগাথা ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েন। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল সদর উপজেলার বিষয়খালিত। প্রায় ৩ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধের পরও ব্যর্থ হয়ে পাকিস্থানী সেনাদল পিছু হটে যায়। সারা জেলায় মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধ শেষে ৩ ডিসেম্বর মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর, ৫ ডিসেম্বর কালিগঞ্জ ও ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ শহরস্থ সমগ্র জেলা স্বাধীন হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সারা জেলায় ১৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীন হন।
জেলার শৈলকুপা থানা একসময় ফরিদপুর জেলার মধ্যে এবং মহেশপুর বনগাঁ মহাকুমার মধ্যে ছিল। ১৯৪৭ সালে মহেশপুর বাদে বনগাঁ মহাকুমা ভারতের অংশ হয়ে যায়। মহেশপুরকে সে সময় অবিভক্ত যশোর জেলার খাদ্য ভান্ডার বলা হতো।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ জেলার রয়েছে ঐতিহ্য। ঝিনাইদহকে বলা হয় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চেলর প্রবেশদ্বার। ১৯১৩-১৪ সালে ঝিনাইদহে রেলগাড়ি চলতো। জে.জে (যশোর-ঝিনাইদহ) রেল কোম্পানী গঠন করে রেলপথ নির্মিত হয়। রেলপথটিকে মার্টিন কোম্পানীর রেল পথ বলেও দাবী করা হয়ে থাকে। তখন আপ-ডাউন আটটি ট্রেন এ জেলায় চলাচল করতো। যশোর-ঝিনাইদহ ২৮ মাইল রাস্তার মধ্যে প্রসন্ননগর, কালীগঞ্জ, বারোবাজার ও চুড়ামনকাঠীতে রেলষ্ট্রেশন ছিল। এসময় কোটচাঁদপুরে চিনি শিল্প গড়ে ওঠায় কালীগঞ্জকে জংশন করে কোটচাঁদপুর পর্যন্ত ৮ মাইল রেল লাইন সম্প্রসারিত করা হয়। তখন রেলের ভাড়া ছিল ১ পয়সা। পরে ১৯৩৫-৩৬ সালে বাস সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। যশোর-ঝিনাইদহ বাস সার্ভিস চালু হয়।

ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ
মরমী কবি লালন শাহ, পাগলা কানাই, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, বিপ্লবী বীর বাঘা যতীন, শ্রীকান্ত ক্ষ্যাপা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বীজগণিত প্রণেতা কে,পি,বসু, প্রখ্যাত কবি গোলাম মোস্তফা, ইতিহাস খ্যাত রাজা ইন্দ্রনারায়ণ, রাজা মুকুট রায়, মোবারক আলী, ইদু বিশ্বাস, বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলামসহ বহু মনীষীর পূন্যস্পর্শধন্য এই ঝিনাইদহ। মুরাদগড়, গাজী-কালু-চম্পাবতী, জঙ্গলপীরের দরগা, ভাইবোনের পুকুর, বলু দেওয়ানের কবর, সুইতলার বটগাছ, নলডাঙ্গার রাজবাড়ীর মন্দির, সেলিম চৌধুরীর বাড়ী, ঢোল সমুদ্র দীঘি এবং শাহী মসজিদ মূর্ত হয়ে আছে এ পূণ্যভূমিতে।
ঝিনাইদহের বারোবাজার দূর অতীতে সমতটের রাজধানী ছিল বলে যশোর-খুলনার ইতিহাস এর লেখক সতীশ চন্দ্র মিত্রের ধারণা। বারবাজারে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন পুরাকীর্তি তার প্রমাণ বহন করে। পীর খাঁন জাহান আলী (রাঃ) বারবাজার থেকে বাগেরহাটে গিয়েছিলেন বলেও সতীশ চন্দ্র মিত্র উল্লেখ করেছেন।
কালীগঞ্জ প্রকৃত পক্ষে রাজা মানসিংহের কারণে ধীরে ধীরে জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ লাভ করে। এখানে বিভিন্ন নামে অনেকগুলি মন্দির ও মসজিদ আছে। কালীগঞ্জে ইংরেজ আমলে মার্টিন কোম্পানীর রেলওয়ে জংশন ছিল। মোগল সেনাপতি রাজা মানসিংহ সেনাবাহিনী নিয়ে রাজমহলের দিকে যাওয়ার পথে নলডাঙ্গায় এসে তাবু স্থাপন করেন। এ সময়ে এক সাধু মানসিংহের সব সেনাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন। এ সাধুর নাম বিষ্ণু দাস হাজরা। তিনি ছিলেন চিরকুমার। রাজা মানসিংহ বিষ্ণু দাস হাজরাকে এ এলাকার ৫টি গ্রাম দান করেন। এ ৫টি গ্রাম পরিচালনার জন্য বিষ্ণু দাস হাজরা, শ্রীমন্ত নামে একজনকে পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। এ শ্রীমন্ত নলডাঙ্গার জমিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
বাংলার সুবেদার ইসলাম খাঁ ১৬১০ সালে কোটচাঁদপুর নির্মাণ করেন এক বিরাট কোট বা প্রাচীর। ১৭৯৪ সালে যশোরের তদানীন্তন কালেক্টর কোটচাঁদপুরের কপোতাক্ষ নদে বাঁধ নির্মাণ করেন। এ বাঁধটি ১৮৩০ সালে ভেঙ্গে যায়।
১৮৬০ সালের দিকে এ অঞ্চলে নীল চাষের বিরুদ্ধে নির্যাতিত কৃষকেরা বিদ্রোহ শুরু করে। এ সময়ে একবার বাংলার ছোট লাট মিঃ গ্রান্ট, কুমার নদ ও কালীগঙ্গা নদীতে মোটর লঞ্চযোগে এ অঞ্চল সফরে আসেন। তাঁর এ সফর ছিল গোপন ব্যাপার। কিন্তু কুমার নদ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হাজার হাজার কৃষকের সমাবেশের সম্মুখীন হন। কৃষকরা লঞ্চ তীরে ভেড়াবার দাবী জানায়; কিন্তু তা অগ্রাহ্য হয়। কৃষকরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ছোট লাট তীরে লঞ্চ ভেড়াতে বাধ্য হন। কৃষকরা তাকে ঘেরাও করে নীল চাষ বন্ধের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয়। নীল বিদ্রোহ এমন আকার ধারণ করে যে, বৃটিশ সরকার ১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়। ফলে চাষীদের বিজয় সূচিত হয় এবং নীলকররা অত্যাচারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই নীলকররা আবার স্বরুপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৮৯ সালে শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া কুঠির আশেপাশের ৪৮টি গ্রামের কৃষক একত্র হয়ে নীল চাষ বন্ধ করে দেয় এবং নীলকুঠি আক্রমণ করে। এ সময়ে বিজুলিয়া কুঠির অধ্যক্ষ ছিলেন মিঃ ডাম্বল। বিভিন্ন সময়ে বিজুলিয়া নীলকুঠি আক্রমণে অনেক ছোট জমিদার ও জোতদার কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে বঙ্কুবিহারী, বসন্ত কুমার, সর্দার সাখাওয়াতুল্লা ওরফে ছফাতুল্লা ও জমির উদ্দিন মন্ডল-এর নামে উল্লেখযোগ্য। ছফাতুল্লার বাড়ী বিজুলিয়ার পাশে খোদবাড়ীয়া গ্রামে। নীল বিদ্রোহ নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে নীলকররা জমির উদ্দিন ও ছফাতুল্লাকে ঘোড়ার জিনের সাথে বেঁধে, টেনে হিঁচড়ে নীলকুঠিতে নিয়ে যায় এবং ৭দিন নীলকুঠির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আটকে রাখে। পরে কৃষকরা আবার কুঠি আক্রমনের প্রস্তুতি নিলে নীলকররা জমির উদ্দিন ও ছফাতুল্লাকে ছেড়ে দেয়।
নীলকুঠি আক্রমণের সময় কৃষকরা ব্যবহার করতো দেশী অস্ত্র। এর মধ্যে একটি হচ্ছে চেঙ্গা। বাঁশ কেটে ছোট করে দু-মুখ ছুঁচালো করে লোহার ফলা লাগিয়ে দেয়া হতো। এই চেঙ্গা জোরে ছুঁড়ে দেয়া হতো শত্রুপক্ষের দিকে। উদ্দেশ্য ছিল দুই দিকের যেকোন দিক লেগে যাতে শস্ত্রুপক্ষ ঘায়েল হয়। কখনও কখনও চেঙ্গার মাথায় কাপড় জড়িয়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে তা ধনুকের সাহায্যে নিক্ষেপ করা হতো।
কৃষকদের আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিজুলিয়া কুঠির নীলকরেরা মির্জাপরের উত্তর থেকে, বেনীপুরের মধ্য দিয়ে কালীগঙ্গা পর্যন্ত একটি খাল খনন করে নাম দেয় ডাকুয়ার খাল। নীলকররা নীলকুঠি আক্রমনকারীদের ডাকাত হিসেবে ভাবতো। আর এ জন্য খালের এ ধরণের নামকরণ হয়। কেউ কেউ অবশ্য ডাকুয়াকে খাল না বলে নদী বলে।
নীল চাষের জন্য নীলকর সাহেবরা অনেকগুলে যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিল। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বলা হতো কনসার্ন। হাজরাপুর বা পোড়াহাটি কনসার্নের অধীনস্ত ১৪টি নীলকুঠির অধিকারে ভূমির পরিমাণ ছিল ১৬,০০০ বিঘা; আর জোড়াদহ কনসার্নের অধীনসত ৮টি কুঠির অধিকারভূক্ত জমির পরিমাণ ছিল ৯,৪০০ বিঘা। জোড়াদহ কুঠির ম্যানেজার ছিলেন মিঃ ম্যাকলেয়ার।
সমৃদ্ধ জনপদ মহেশপুর পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৮ সালে। ১৮৮৩ সালের ১ জুলাই কোটচাঁদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় পৌরসভা। ১৯১৩ (মতান্তরে ১৯১৪) সালে ঝিনাইদহে রেলগাড়ী চালু হয়। খাজুরা গ্রামের জনৈক মন্মথ নাথ জে,জে, অর্থাৎ যশোর-ঝিনাইদহ রেল কোম্পানী নামে একটি লিমিটেড কোম্পানী গঠন করে রেলপথ নির্মাণের কাজে হাত দেন। আরেকটি সূত্র অবশ্য এই রেলপথকে মার্টিন কোম্পানীর রেলপথ বলে দাবী করে। তখন আপ-ডাউন আটটি ট্রেন চলাচল করতো। যশোর-ঝিনাইদহ ২৮ মাইল রাস্তার মধ্যে প্রসন্ননগর, কালীগঞ্জ, বারোবাজার ও চুড়ামনকাঠিতে রেলষ্টেশন ছিল। এ সময়ে কোটচাঁদপুরে চিনি শিল্প গড়ে ওঠে। ফলে কালীগঞ্জকে জংশন করে কোটচাঁদপুর পর্যন্ত ৮ মাইল রেল লাইন সম্প্রসারিত হয়। তখন রেলের ভাড়া ছিল মাইল প্রতি ১ পয়সা। পরে ১৯৩৫-৩৬ সালের দিকে কালীগঞ্জের কয়েকজন মিলে বাস সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করে যশোর-ঝিনাইদহ বাস লাইন চালু কছের। এ বাস লাইন ছিল রেল লাইনের পাশ দিয়েই। ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে কোটচাঁদপুরে চলতো বাস। মাজদিয়ার মেসার্স অশ্বিনী কুমার দত্ত এন্ড কোং এ বাস সার্ভিস চালু করে। বাস মালিকরা রেলের চাইতে কম ভাড়া নিতে শুরু করে এবং প্রত্যেক যাত্রিকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে শুরু করে। এ ছাড়া বাসে চড়লে নাস্তা দেয়া হতো এবং কখনো যাত্রীদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হতো। পরিণতিতে রেল কোম্পানী প্রতিযোগিতায় পিঁছিয়ে পড়তে থাকে। এ সময়ে পাল ও কুরী কোম্পানীর বাস রাস্তায় নামে। ফলে রেল উঠে যেতে বাধ্য হয়। রেল উঠে যাওয়ার আর একটি কারণ রেলগাড়ী ধীর গতিতে চলতো। বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে কখনও আগে যেতে পারতো না। পথিমধ্যে হাত উঁচু করলে বাস দাড়াঁতো, রেলও দাঁড়াতো যাত্রী উঠানোর জন্যে।
জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলাটি ছিল একটি সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে অনেক জমিদার ছিলেন। এখানে নীল কুঠিও ছিল অনেকগুলি। জোড়াদহ কনসার্নের অধীনস্ত ৮টি কুঠিই এ এলাকায় ছিল। নীল বিদ্রোহে এখানকার কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
শৈলকুপা বহুপূর্বে এক সময় ফরিদপুর জেলার মধ্যে ছিল। শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র, সারুটিয়া ও হাকিমপুর এ তিনটি ইউনিয়ন প্রতিবছর বন্যাকবলিত হত গড়াই নদীর কারণে। শৈলকুপার শাহী মসজিদ এ এলাকার বিখ্যাত একটি মসজিদ। আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের আমলে ১৬শ শতকে শাহ আরব নামে এক ব্যক্তি এটি নির্মাণ করেন।
মহেশপুর ছিল বনগাঁ মহকুমার অংশ। পাকিসহান সৃষ্টির সময় মহেশপুর ঝিনাইদহ মহকুমার সাথে যুক্ত হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট থেকে ৩দিন পর্যন্ত বনগাঁ পাকিস্তানের অংশ ছিল। পরবর্তীতে মহেশপুর থানা বাদে বনগাঁ মহকুমা পরে ভারতের অংশ হয়। মহেশপুরকে এক সময় অবিভক্ত যশোর জেলার খাদ্য ভান্ডার বলা হতো।
১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝিনাইদহের আপামর জনতা দেশবাসীর সাথে একাকার হয়েছিল। এরপর জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামে তারা ছিল সোচ্ছার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় বিষয়খালীতে। ১ এপ্রিল ঐ দিন যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী সেনাদল ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসতে থাকলে বিষয়খালীতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা বেগবতী নদীর তীরে তাদেরকে প্রবল বাঁধা দেয়।
প্রায় ৩ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধের পরেও এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়ে পাকিস্তানী সেনাদল পিছু হটে যায়। ১৬ এপ্রিল দুপুরে আরও অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী বাহিনী ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেগবতী নদীর তীরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় ৬ ঘন্ট তুমুল যুদ্ধে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সদর উদ্দিন, দুখী মাহমুদ, আব্দুল কুদ্দুস, খলিলুর রহমান, কাজী নজির উদ্দীন, শমসের আলী দুখে প্রমুখ ঘটনাস্থলে শহীদ হন। আহত হন অনেকে। ঐ রাতেই ঝিনাইদহ শহরের পতন ঘটে। পরবর্তীতে সারা জেলায় মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধগুলি হল- শৈলকুপা থানা আক্রমন, কামান্নার যুদ্ধ, আলফাপুরের যুদ্ধ, আবাইপুরের যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ মহেশপুর, ৪ তারিখ কোটচাঁদপুর, ৫ তারিখ কালীগঞ্জ ও ৬ তারিখ ঝিনাইদহ শহরস্থ অন্যান্য স্থান স্বাধীন হয়। এ যুদ্ধে সারা জেলায় মোট ১৭৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। জেলা হিসেবে নবীন হলেও ঝিনাইদহের রয়েছে সমৃদ্ধ আর বীরত্বগাঁথা ইতিহাস।

অবস্থান ও আয়তন

দক্ষিন বঙ্গের প্রবেশদ্বার ঝিনাইদহ। এর উত্তরে রয়েছে কুষ্টিয়া জেলা ,পূর্বে মাগুরা, দক্ষিণে যশোর ও পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা।ঝিনাইদহ জেলা ২৩.১৫' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°.৪৫³ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮°.৪৫' পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯°.১৫' পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।জেলার মোট আয়তন ৭৫৮ বর্গমাইল (১৯৪১.৩৬ বর্গ কিমি)। ঝিনাইদহ সদর,কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর,শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু ৬ টি উপজেলার সমন্বয়ে ঝিনাইদহ জেলা গঠিত। আয়তনের দিক থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বৃহত্তম ( ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত) এবং ক্ষুদ্রতম উপজেলা কোটচাঁদপুর( ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত)।

কৃষি জলবায়ু
এখানকার জলবায়ু উষ্ণ ধরনের সমভাবাপন্ন। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২২°.২৪' সেলসিয়াস এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৫২.১৯০ সেমি। ঝিনাইদহের বুক চিরে বয়ে চলেছে বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী।


খনিজ সম্পদ
ঝিনাইদহ জেলাটি একটি সমতল ভূমি। এ জেলায় কোন উঁচু-নিচু পাহাড় / টিলা বা বড় কোন নদীর অসিত্ব নেই। জেলাটি কৃষি পণ্য উৎপাদনের উর্বর ভূমি হওয়ায় অত্র জেলায় কোন খনিজ সম্পদ আছে মর্মে কোন রেকর্ডপত্র নেই।

ঝিনাইদহ জেলার খেলাধুলা ও বিনোদন সম্পর্কিত তথ্য
১। এ জেলার বিশেষ উল্লেখযোগ্য খেলার নামঃ ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, হকি, হ্যান্ডবল, খো-খো, দাবা, বক্সিং, এ্যাথলেটিকস, সাঁতার ইত্যাদি।
২। জেলা সদরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম ও ৫ উপজেলা সদরে ৫টি খেলার মাঠ আছে।
৩। বাৎসরিক খেলা অনুষ্ঠানের তালিকাঃ ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, দাবা, সাঁতার ইত্যাদি।
৪। খো-খো ও প্রমীলা ক্রিকেট খেলা ২০০৮ সাল থেকে প্রচলন হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খেলা অনেক আগে থেকে ধারাবহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঝিনাইদহ জেলায় বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি আছে-নিম্নে সেগুলো সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো-
ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীঃ১৯৮৪ সালে ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ । ঝঙ্কার এ পর্যন্ত চল্লিশটিরও বেশী নাটক প্রযোজনা করেছে। প্রদর্শণী সংখ্যা শতাধিক। শান্ত জোয়ার্দার এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঝঙ্কার বাংলাদেশ টেলিভিশনেও নাটক পরিবেশন করেছে।
সূর্যোদয় নাট্যগোষ্ঠীঃ পাগলাকানাই মোড়ে এর কার্যালয়। ১৯৮৬ সালে সূর্যোদয় নাট্যগোষ্ঠির আত্মপ্রকাশ। বিশটি নাট্য প্রযোজনার মাধ্যমে মোট প্রদর্শনী সংখ্যা চল্লিশের অধিক। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তপন গাঙ্গুলী।
ঝিনেদা থিয়েটারঃ এ দলটির আত্মপ্রকাশ ১৯৮৬ সালে। দলটি শহর ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম- গঞ্জে নাটক মঞ্চস্থ করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।
বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠীঃ ১৯৯৩ সাথে বিবর্তনের আত্মপ্রকাশ। প্রদর্শনী সংখ্যা চল্লিশের উপর। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজু আহম্মেদ মিজান। পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বাবু কনক কান্তি দাস ও নারায়ন নন্দী।
বাংলাদেশ গণশিল্পীসংস্থা, ঝিনাইদহ শাখাঃ ১৯৯৫ সাথে সংস্থার ঝিনাইদহ শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি নাটক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে। আব্দুস সালামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, ঝিনাইদহ শাখা এগিয়ে চলছে।
অংকুর নাট্য একাডেমীঃ ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী মাহান ভাষা দিবসে অঙ্কুর নাট্য একাডেমীর যাত্রা শুরু । বয়সে খুব নবীন হলেও ইতোমধ্যে দলটি বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্যপদ লাভ করতে সমর্থ হয়েছে। এ ছাড়া অঙ্কুর নাট্য একাডেমী বাংলাদেশ টেলিভশনে মঞ্চ নাটক প্রদর্শনীতে খুলনা বিভাগে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এবং প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে। অঙ্কুর প্রযোজিত "বিচার এমন' নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। এর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস।
বিহঙ্গ নাট্যগোষ্ঠিঃ ১৯৯৫ সাথে বিহঙ্গের আত্মপ্রকাশ। এর চারটি নাটক এ পর্যন্ত ২৭ বার প্রদর্শিত হয়েছে। নেতৃত্ব দান করেছেন শাহীনুর আলম লিটন।
শিশু কিশোর নাট্যদলঃ ঝিনাইদহের একমাত্র শিশু কিশোর নাট্যচর্চা প্রতিষ্ঠান। এর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৫ সালে। নারায়ন চন্দ্র নন্দী এবং মোঃ নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস শিশু কিশোর নাট্যদলের যথাক্রমে সভাপতি ও সম্পাদক। এরা বারটিরও অধিক নাটক মঞ্চসহ করেছে। ঝিনাইদহ শিশু কিশোর নাট্যদল বাংলা পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের তালিকাভূক্ত নাট্য প্রতিষ্ঠান।
১। দীপায়ন একাডেমী, ঝিনাইদহ।
২। আনন্দ সাংস্কৃতিক সংগঠন, ঝিনাইদহ।
৩। শিল্পী সংঘ ইনিষ্টিটিউট, ঝিনাই|দহ।
৪। সুর নিকেতন, ঝিনাইদহ।
৫। বাউল পরিষদ, ঝিনাইদহ।
৬। চারণ সাংস্কৃতিক একাডেমী, ঝিনাইদহ।
৭। হিউম্যানিজম , ঝিনাইদহ।
উপরোক্ত সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ ঝিনাইদহের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রিয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানাদিতে অংশ গ্রহণ করে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
চলচিত্র বিষয়কঃ
ঝিনাইদহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশেষ ব্যক্তিত্ব জনাব আমির হোসেন মালিতার পরিচালিত ছবি "যে আগুনে পুড়ি' নির্মাণ করে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছেন। উক্ত চলচিত্রে প্রথম অভিনয় শিল্পী হিসেবে এ্যাডঃ মোকাররম হোসেন টুলু অভিনয় করেন।

ঝিনাইদহ জেলার ভাষা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন
শিক্ষা হচ্ছে জ্ঞানের আলোক বর্তিকা। আর কোন জাতীর আত্ম পরিচয়ই হচেছ তার সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীর চিন্তা- চেতনার প্রতিফলন ঘটে। সংস্কৃতি হচ্ছে দর্পণ। দর্পণে যেমন নিজের চেহারা দেখা যায়, তেমনি কোন দেশের বা স্থানের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড দেখেই সে দেশের বা স্থানের সার্বিক চিত্র অনুধাবন করা যায়।
বাংলাদেশের অনাদিকাল থেকে লালিত ঐতিহ্যমন্ডিত সংস্কৃতির এক চারণভূমি ঝিনাইদহ। বৃটিশ এবং পাকিস্তান আমলে জনগোষ্ঠি চিরাচরিত বাঙালী মেজাজ ও ধারায় সংস্কৃতির চর্চা করেছে। এর মাধ্যমে তাদের জীবন ধারা, চিন্তা-চেতনা, হাসি-কান্না, চাওয়া-পাওয়াকে তারা তুলে ধরেছে। ধর্ম এবং চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে সর্বদা । মক্তবে -মসজিদে কিংবা মন্দিরে -গুরুগৃহে তারা বিদ্যার্জন করেছে। স্রষ্টার প্রতি তারা নিবেদিত হয়েছে। তারা ঈদ উৎসবে মেতেছে, মেতেছে বিভিন্ন পূজা পার্বন, নবান্ন, বর্ষবরণ, বিবাহ, কিংবা জাতীয় ও পারিবারিক নানা উৎসবে। পূঁথি পাঠের আসর বসেছে; লাঠিখেলা, ঘোড়দৌড়ের; নৌকা বাইচের অনুষ্ঠান করেছে। যাত্রা পালার আয়োজন করেছে গ্রাম-গঞ্জে। কাজের অবসরে এগুলোতে অবগাহন করে সবাই তৃপ্ত হয়েছে।
এ মাটির ক্ষণজম্মা পুরুষ লালনশাহ, পাগলাকানাই, পাঞ্জু শাহ, ইদু বিশ্বাস, সিরাজ সাঁই ভক্তি মূলক এবং দেহতত্ত্বের গান রচনা করেছেন। সমাজের উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সবাই এর পৃষ্ঠপোষকতা করেছে নানান ভাবে। ধীরে ধীরে তাদের জীবনবোধে সমাজ ও রাজনীতি সচেতনতা এসেছে এবং এর প্রতিফলন ঘটেছে গানে, নাটকে আর যাত্রায়। সময়ের দাবীতে আধুনিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভবের ফসল ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জেলার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ১৮৭২ সালে হরিণাকুন্ডু প্রিয়নাথ মডেল ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৭ সালে ঝিনাইদহ মডেল ইংলিশ স্কুল (পরে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়) জেলা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জেলার প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৭৮ সালে কালিগঞ্জের হেলায় গ্রামে। তারপর জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য উচ্চ ও নিম্ন -মাধ্যমিক বিদ্যালয় মদ্রাসা , মক্তব প্রভৃতি। ঝিনাইদহের প্রথম লাইব্রেরী ‘ঝিনাইদহ পাবলিক লাইব্রেরী’প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯১৪ সালে; ঝিনাইদহের প্রথম প্রিন্টিং প্রেস ‘সিদ্ধেশ্বরী প্রেস’ গত শতকের চল্লিশ দশকে ঝিনাইদহ শহরে স্থাপিত হয়েছে।
একদা ঝিনাইদহের সংস্কৃতি মূলতঃ নাটক এবং যাত্রা কেন্দ্রিক ছিল। সংগীতের ক্ষেত্রে লোক সংগীত, ধোয়া, জারী,ভাব সংগীত প্রভৃতি ঝিনাইদহের সংস্কৃতিক পরিমন্ডলকে সমৃদ্ধ করেছে। নাট্যচর্চা ও লোকজ নাট্যধারায় ঝিনাইদহ জেলার রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। প্রথম মহাযু্দ্ধেরও আগে ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঝিনাইদহ করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব। ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রস্থলে বাঘাযতিন রোডে ছিল এর অবস্থান। করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব কে ঘিরে ঝিনাইদহের নাট্য চর্চা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালের আগে ‘টিপু সুলতান’ ‘কন্ঠহার’ ‘শাহজাহান’ ইত্যাদি নাটক অভিনিত হয়েছিল।
১৯৪৭ এর পরে নাট্য আন্দোলন এবং লোকজ শিল্পে জোয়ার আসে। বেশ কিছু খ্যাতিমান শিল্পী ক্লাবের সাথে যুক্ত হন। বাঘা ডাক্তার ( পিতা যতীশ গাঙ্গুলী) রমেশ চন্দ্র বকশী, নৃপেন্দ্র নাথ সেন গুপ্ত(ভোলা সেন),আলাউদ্দিন আহমেদ, প্রবোদ চন্দ্র মিত্র, আনোয়ার রহমান(কদু মিয়া), মনোয়ার রহমান (মনা), সুশিল কুমার কুন্ডু, মোবাশ্বের হেসেন প্রমুখ শিল্পী বেশ কিছু নাটক মঞ্চস্থ করেন। ১৯৪৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব ‘সিরাজদ্দৌলা’ এবং ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ নাটক দুটি দর্শনীর বিনিময়ে মঞ্চস্থ করেন।
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তিতে জেলায় শুরু হয়েছে মূলতঃ ৫০ দশক থেকে । ১৯৫৭ সালে জেলা শহরে শিল্পী সংঘ প্রতিষ্ঠার মাধ্যামে । শিল্পী সংঘের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি ডাঃ সায়েদুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জাহিদ হোসেন (মুসা মিয়া) । এদের সাথে ছিলেন জেলার প্রথম বেতার শিল্পী ফসিউর রহমান(লিচু মিয়া), হরিপদ, গৌর পদ, জাহিদুল ইসলাম বুলু, শামসুর রহমান,শামসুন্নাহার(মনি), তৈয়বুর রহমান(শুকুর) রওশন আরা বুলবুল, মনোয়ারা, আলেয়া, খুকু, তৃপ্তি প্রমুখ। আর নাটক নির্দেশনায় ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত (ভোলা সেন)। শিল্পী সংঘের নিজস্ব কার্যালয় ছিল। এরা নাটক মঞ্চস্থ এবং সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করত।
এর কয়েক বছর পরেই গঠিত হয় “সবুজ সংঘ’'। সভাপতি এবং সম্পাদক হন যথাক্রমে গোলাম মোস্তফা (শিক্ষক) ও আব্দুর রউফ (শিক্ষক) এদের সাথে শিল্পী হিসেবে ছিলেন আব্দুস সামাদ, মনজু, জামান খান,লতিফুল হোসেন, আমির হোসেন মালিতা,নির্মলেন্দু কুন্ডু, আনোয়ারুল কবির, মোকাররম হোসেন টুলু, হাবুল চৌধুরী, আব্দুল গফুর, এনা মুখার্জী প্রমুখ। সবুজ সংঘের ও নিজস্ব কার্যালয় ছিল। এরাও অনেক নাটক মঞ্চস্থ করে এবং অসংখ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠনের আয়োজন করে। শিল্পী তৈরীতে সংগঠন দু’টি নিজেদেরকে নিয়োজিত করে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে । জেলা শহরে এ সময় গড়ে ওঠে “শামিত অপেরা”।
সরকারী উদ্যোগে ‘আর্টস কাউন্সিল' গঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। পরবর্তীকালে সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আর্টস কাউন্সিলের বাংলা নামকরণ হয় ‘শিল্পকলা পরিষদ' । বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি শিল্পকলা একাডেমী নামে পরিচিত। প্রথম দিকে মহকুমা প্রশাসক পদাধিকার বলে একাডেমীর সভাপতি এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন সম্পাদক। জেলা ঘোষিত হবার পর জেলা প্রশাসক শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি থাকেন এবং দীর্ঘদিন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জনাব মোকররম হোসেন টুলু। জেলা শিল্পকলা একাডেমী নাট্যচর্চাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অবদান রেখেছে। বেশ কিছু প্রবীণ ও নবীন নাট্য শিল্পী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন। এদের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন নৃপেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত (ভোলা সেন), নাঈম উদ্দিন আহমেদ, সুকুমার দাস, সাওগাত -উল -ইসলাম প্রমুখ। যে সব প্রবীণ নাট্য শিল্পী এখনও জীবিত আছেন তারা হলেন খন্দোকার আনছার উদ্দিন, সুধীর কুমার সমাদ্দার, মোঃ জালাল উদ্দিন আহমেদ, ফজলুল হক, আব্দুল মান্নান, নির্মল কুমার ঘোষাল(ঝুনু)। এছাড়া প্রবীণ শিল্পী আছেন রেজাউল আলম, আশরাফুল ইসলাম, মিন্টু প্রমূখ। মহিলাদের মধ্যে অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন অঞ্জু এবং ইতি।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম মূলতঃ তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথমতঃ নাট্যচর্চা, মঞ্চায়ন এবং নাট্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। দ্বিতীয়তঃ সংগীত, বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যকলা চর্চা ও শিক্ষার ব্যবস্থা এবং তৃতীয়তঃ প্রশাসনের সহযোগিতায় রাষ্ট্রীয় দিবসগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
একাডেমীর শিল্পীরা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। রাজশাহী, রংপুর,ঢাকা,কুষ্টিয়া,পাবনা,কুমিল্লা,যশোর,খুলনা প্রভৃতি স্থানে নাটকের সফল মঞ্চায়ন করে। একাডেমীর শিল্পীরা খুলনা বেতারে “মীর কাশীম” “পলাশীর আগে; “পলাশীর পরে; “উদয় লীলা', প্রভৃতি ঐতিহাসিক নাটক এবং সামাজিক নাটক, ঝিনেদা থেকে বলছি' মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক “চশমার অন্তর্ধান” নাটকে অভিনয় করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বংলাদেশ টেলিভশনে একাডেমীর শিল্পীরা আজ অবধি ২৪ টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এতদঞ্চলের সাংস্কৃতির ধারাকে পরিচিত করেছেন। একাডেমী হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আশির দশক হতে অজয় দাস,তপন, সুকুমার দাস(পচা দাস), মিতা বিশ্বাস, সোহাগমনি দাস, নুরুল হক, তৌহিদা আখতার রাত্রী, নিলু, মিন্টু , কাজল ও দিল আফরোজ রেবা, আজও বাংলাদেশ টেলিভশনে ও বেতারে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করে আসছেন। আলমগীর মাজমাদার, আব্দুর রাজ্জাক, দীন মোহাম্মদ বাবুর আড় বাঁশীর সুর মানুষকে আচ্ছন্ন করে। জয় গোপাল, বিপ্লব বিশ্বাস, রঞ্জন ভৌমিকের তবলার লহরীতে শ্রোতাকুল মুগ্ধ হন।
১৯৬৭ সালে অগ্রণী সমিতি প্রতিষ্ঠা হয় শহরের কাঞ্চননগরে। এ সমিতিও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জডিয়ে পড়ে এবং পর পর বেশ কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থসহ অসংখ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৭৩ সালে অগ্রণী সমিতি প্রতিষ্ঠা করে অগ্রণী সংগীত বিদ্যালয়। এটিই জেলার প্রথম সংগীত বিদ্যালয়। এর সভাপতি আমির হোসেন মালিতা এবং সম্পাদক ছিলেন এম,এ আনসারী। সহোযোগিতায় ছিলেন নাজির উদ্দিন লিচু, ওবায়দুল আলম, আমিনুর রহমান টুকু, সাজেদুল করিম বাবু প্রমুখ। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন বুলবুল চৌধুরী। শিক্ষক ছিলেন অজয় দাস ও অন্যান্যরা। বিদ্যালয়টি বেশ কয়েক বছর অসংখ্য সংগীত ও নিত্যশিল্পী তৈরী করে জেলার সংস্কৃতিকে আরোও একধাপ এগিয়ে দেয়। আশির দশকে এসে ঝিনাইদহ জেলা শহরে এবং উপজেলা শহরেও বেশ কিছু নাট্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ গুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নীচে দেয়া হলো।
ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীঃ১৯৮৪ সালে ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ । ঝঙ্কার এ পর্যন্ত চল্লিশটিরও বেশী নাটক প্রযোজনা করেছে। প্রদর্শণী সংখ্যা শতাধিক। শান্ত জোয়ার্দার এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ঝঙ্কার বাংলাদেশ টেলিভিশনেও নাটক পরিবেশন করেছে।
সূর্যোদয় নাট্যগোষ্ঠীঃ পাগলাকানাই মোড়ে এর কার্যালয়। ১৯৮৬ সালে সূর্যোদয় নাট্যগোষ্ঠির আত্মপ্রকাশ। বিশটি নাট্য প্রযোজনার মাধ্যমে মোট প্রদর্শনী সংখ্যা চল্লিশের অধিক। এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তপন গাঙ্গুলী।
ঝিনেদা থিয়েটারঃ এ দলটির আত্মপ্রকাশ ১৯৮৬ সালে। দলটি শহর ছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম- গঞ্জে নাটক মঞ্চস্থ করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে।
বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠীঃ ১৯৯৩ সাথে বিবর্তনের আত্মপ্রকাশ। প্রদর্শনী সংখ্যা চল্লিশের উপর। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজু আহম্মেদ মিজান। পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বাবু কনক কান্তি দাস ও নারায়ন নন্দী।
বাংলাদেশ গণশিল্পীসংস্থা, ঝিনাইদহ শাখাঃ ১৯৯৫ সাথে সংস্থার ঝিনাইদহ শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি নাটক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে। আব্দুস সালামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, ঝিনাইদহ শাখা এগিয়ে চলছে।
অংকুর নাট্য একাডেমীঃ ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী মাহান ভাষা দিবসে অঙ্কুর নাট্য একাডেমীর যাত্রা শুরু । বয়সে খুব নবীন হলেও ইতোমধ্যে দলটি বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্যপদ লাভ করতে সমর্থ হয়েছে। এ ছাড়া অঙ্কুর নাট্য একাডেমী বাংলাদেশ টেলিভশনে মঞ্চ নাটক প্রদর্শনীতে খুলনা বিভাগে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এবং প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে। অঙ্কুর প্রযোজিত "বিচার এমন' নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। এর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস।
বিহঙ্গ নাট্যগোষ্ঠিঃ ১৯৯৫ সাথে বিহঙ্গের আত্মপ্রকাশ। এর চারটি নাটক এ পর্যন্ত ২৭ বার প্রদর্শিত হয়েছে। নেতৃত্ব দান করেছেন শাহীনুর আলম লিটন।
শিশু কিশোর নাট্যদলঃ ঝিনাইদহের একমাত্র শিশু কিশোর নাট্যচর্চা প্রতিষ্ঠান। এর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৫ সালে। নারায়ন চন্দ্র নন্দী এবং মোঃ নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস শিশু কিশোর নাট্যদলের যথাক্রমে সভাপতি ও সম্পাদক। এরা বারটিরও অধিক নাটক মঞ্চসহ করেছে। ঝিনাইদহ শিশু কিশোর নাট্যদল বাংলা পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের তালিকাভূক্ত নাট্য প্রতিষ্ঠান।
১। দীপায়ন একাডেমী, ঝিনাইদহ।
২। আনন্দ সাংস্কৃতিক সংগঠন, ঝিনাইদহ।
৩। শিল্পী সংঘ ইনিষ্টিটিউট, ঝিনাইদহ।
৪। সুর নিকেতন, ঝিনাইদহ।
৫। বাউল পরিষদ, ঝিনাইদহ।
৬। চারণ সাংস্কৃতিক একাডেমী, ঝিনাইদহ।
৭। হিউম্যানিজম , ঝিনাইদহ।
উপরোক্ত সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ ঝিনাইদহের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রিয় ও জাতীয় অনুষ্ঠানাদিতে অংশ গ্রহণ করে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
চলচিত্র বিষয়কঃ
ঝিনাইদহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশেষ ব্যক্তিত্ব জনাব আমির হোসেন মালিতার পরিচালিত ছবি "যে আগুনে পুড়ি' নির্মাণ করে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছেন। উক্ত চলচিত্রে প্রথম অভিনয় শিল্পী হিসেবে এ্যাডঃ মোকাররম হোসেন টুলু অভিনয় করেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও সংগঠকঃ
ঝিনাইদহের সাংস্কৃতিক অঙ্গন যাদের দৃপ্ত পদচারনায় মুখরিত ছিল, সে সব প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যত্তিত্ব ও সংগঠকদের পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
সুকুমার দাসঃ ঝিনাইদহ শহরের পবহাটী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি মঞ্চ নাটক এবং যাত্রা মঞ্চে সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কূট চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে দর্শক শ্রোতার প্রশংসা লাভ করেন। স্পষ্টভাষী হিসেবে তিনি নাট্য জগতের সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। নাট্য জগতে অসামান্য অবদান রাখার কারণে তিনি ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমী হতে সংবর্ধনা পান। বিশ শতকের আশির দশকে তিনি পরলোক গমন করেন।
ভানু চৌধুরীঃ ঝিনাইদহ শহরের ভানু চৌধুরী নাট্য জগতের তথা যাত্রা মঞ্চের একজন বলিষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন। সে সময়ে এতদঞ্চলে তার সমকক্ষ অভিনেতা খুব কমই ছিল। তিনি সাধারনত রাজা , মহারাজা, বাদশা, সেনাপতি ও কূট চরিত্রে অভিনয় করতেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অনাথ বন্ধু বিশ্বাসঃঅনাথবন্ধু বিশ্বাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঝিনাইদহের নাট্য জগতের একজন বিখ্যাত অভিনেতা । তিনি স্পষ্ট সংলাপ প্রক্ষেপণ ও বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য খ্যাত ছিলেন। ১৯৮২ সালে এ বিশিষ্ট শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।
গৌর চন্দ্র বিশ্বাসঃ গৌর চন্দ্র বিশ্বাস ঝিনাইদহ যাত্রা জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বি অভিনেতা বললে অত্যুক্তি হয়না। তিনি যুবক, বৃদ্ধ, রাজা, মহারাজা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি ছিলেন যাত্রা নাটকের পরিচালক। বিশ শতকের সত্তরের দশকে তিনি পরলোক গমন করেন।
আজিজুর রহমান (ঠান্ডু মিয়া) আজিজুর রহমান(ঠান্ডু মিয়া) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভূটিয়ারগাতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। একজন মঞ্চ অভিনেতা ছিলেন। মঞ্চে মেয়েলী কণ্ঠস্বর ও মেয়েলী চালচলন প্রদর্শনে অপ্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ায় তিনি দর্শকদের প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন। বিশ শতকের আশির দশকে তিনি ইন্তেকাল করেন।
নৃপেন্দ্র কুমার সেনগুপ্ত (ভোলা সেন) ঝিনাইদহ শহরের নৃপেন্দ্র কুমার সেন পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হলেও নাট্য জগতে তার দখল ছিল প্রচুর। তাকে ঝিনাইদহের মঞ্চ নাটকের দিকপাল বললে অত্যুক্তি হয় না। বিশ শতকের আশির দশকে তিনি পরলোক গমন করেন।

  ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত সরকারী/বেসরকারী পর্যায়ে পরিচালিত হোটেল, মোটেল, রেস্তোরা, রেষ্টহাউজ, গেষ্টহাউস, ঢাকবাংলো সহ অন্যান্য তথ্যাদি।


উপজেলাঃ ঝিনাইদহ সদর

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
বেসরকারী
হোটেল জামান, ঝিনাইদহ সদর(পোষ্ট অফিসের মোড়) মোবাঃ ০১৭১১-১৫২৯৫৪
কক্ষ - ৪৩টি
বেড - ৪৭টি
ডাবল - ০৮টি
এসি, সিংগেল - ৩৫ টি
ভাড়ার হার সিংগেল ৬০/-, ৩০/- ও ডাবল- ১২০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০ কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 
০২

’’
ক্ষনিকা রেস্ট হাউস
এইচ,এস,এস রোড ঝিনাইদহ
কক্ষ - ১২টি
বেড - ০৫টি
ভাড়ার হার সিংগেল ৬০/-, ৩০/- ও ডাবল- ১২০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০ কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 
০৩
’’
আজাদ রেস্ট হাউজ
৪৫,এইচ,এস,এস রোড,
ঝিনাইদহ।
মোবাঃ ০১৭১১-১৪৪০৪৬
কক্ষ - ২০টি
বেড - ২৮টি
ভাড়ার হার-
সিংগেল ২৫/-, ৩০/- ও ডাবল- ২০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০ কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 
০৪
’’
নয়ন আবাসিক হোটেল
এন্ড রেস্ট হাউজ,
অগ্নিবীণা সড়ক
সিংগেল বেড-১০টি
ভাড়া-৪০/- টাকা
ডাবল বেড-০৩টি, ভাড়া ৭০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 
০৫
’’
আজমিরী হোটেল
কে,পি বসু সড়ক
সিংগেল বেড-২৭টি
ভাড়া-৪০/- টাকা
ডাবল বেড-০৬টি,
ভাড়া ৮০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০ কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 
০৬
’’
ঝিনুক আবাসিক হোটেল
মাওলানা ভাসানী সড়ক,
চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড,
ফোনঃ ০৪৫১-৬১৪৬০
কক্ষ-১২ টি, সিংগেল বেড-০৬টি, ভাড়া-১০০/- টাকা ডাবল বেড-০১টি, এসি ভাড়া ৪০০/- টাকা
ঢাকা হতে স্থানটির দুরত্ব প্রায়- ২১০ কিঃ মিটার
(সড়ক পথে)
 


উপজেলা হরিণাকুন্ডুঃ

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
সরকারী

জেলা পরিষদ ডাকবাংলো , ঝিনাইদহ
কক্ষ - ০৫টি(ডবল বেডসহ - ০২টি, এসি কক্ষ এবং সিংগেল
বেডসহ-০৩টি নন-এসি কক্ষ। ভাড়ার হার -এসি কক্ষ-
১২০/-টাকা
নন-এসি কক্ষ-৪০/-টাকা

৩১০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
রেলপথে দুরত্ব- ৪১৩কিলোমিটার
 

উপজেলা শৈলকুপাঃ

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
সরকারী
পৌরসভা রেস্ট হাউজ
শৈলকুপা, ঝিনাইদহ।
কক্ষ - ০৩টি
বেড - ০৫টি
ডবল বেড সহ ০২টি নন এসি ভাড়া ১০০/-, ডাবল- ১৫০/- টাকা।
৩১০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
রেলপথে দুরত্ব- ৪১৩কিলোমিটার
 
০২
সরকারী
জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, ঝিনাইদহ।
কক্ষ- ০৩ টি বেড- ০৫ টি, সিংগেল- ০১ টি, ডাবল- ০২ টি, নন এসি,
ভাড়া -সিংগেল
নন এসি ,ভাড়া সিংগেল-২০/- ডাবল- ৪০/- টাকা
২৩০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)

 
০৩
’’
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডাকবাংলো।
কক্ষ - ০৪টি
২৩০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)

 
০৪
বে-সরকারী হোটেল
ব্র্যাক রেস্ট হাউস
কক্ষ- ০৩ টি, বেড ০৫ টি, সিংগেল-০১ টি, ডাবল- ০২টি, ননএসি, ভাড়া- সিংগেল-১০০/-

২৩০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
 


উপজেলা কোটচাঁদপুরঃ

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
বে-সরকারী হোটেল
খান আবাসিক হোটেল কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ।
কক্ষ - ১৩টি
বেড - ১৪টি
ডবল বেড সহ ১২টি

২৪০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
রেলপথে দুরত্ব- ৩১৩কিলোমিটার
 
০২
সরকারী
জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, ঝিনাইদহ।
এসি কক্ষ - ০১টি
বসার কক্ষ - ০১ টি
বেড - ০৫টি
ডাইনিং - ০১ টি
নন এসি - ০১টি
ভাড়ার হার- ৬০/-টাকা
২৪০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
রেলপথে দুরত্ব- ৩১৩কিলোমিটার
 
০৩
’’
সেন্ট্রাল হ্যাচারী কমপ্লেক্স
এসি কক্ষ-০৪টি
বেড-৪টি
ডাইনিং - ০১ টি নন এসি ভাড়ার হার- ২০

২৪০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
রেলপথে দুরত্ব- ৩১৩কিলোমিটার
 



উপজেলা মহেশপুরঃ

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
সরকারী
জেলা পরিষদ ডাকবালো মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
কক্ষ - ০৪টি
বেড - ০৬টি
ডাবল - ০২টি
সিংগেল - ০৪টি
সিট প্রতি ভাড়া -
৬০ টাকা প্রতিদিন।
২৬০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
 
০২
’’
রেষ্ট হাউজ, দত্তনগর কৃষি ফার্ম মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
কক্ষ - ০৩টি
বেড - ০৫টি
ডবল - ০২ টি
সিংগেল - ০৩টি
(সরকারী কর্মকর্তার জন্য প্রতিদিন- ২০/- টাকা। বাহিরের জন্য অনির্ধারিত)

২৭০ কিলোমিটার
( সড়ক পথে)
 


উপজেলা কালীগঞ্জঃ

ক্রমিক নং
আবাসনের প্রকার
নাম ও ঠিকানা
ধারণ ক্ষমতা
যাতায়াত ব্যবস্থা
মন্তব্য
০১
সরকারী
জেলা পরিষদ ডাকবালো কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
কক্ষ - ০৪টি
বেড - ০৬টি
ডাবল - ০২টি
সিংগেল - ০৪টি
সিট প্রতি ভাড়া- ৬০/-
টাকা প্রতিদিন।
২২০কিলোমিটার
(সড়ক পথে)
 
০২
বে - সরকারী
হোটেল           শাহী                আবাসিক,
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
মোবা ০১৭১২-২৪২৭২৬
কক্ষ - ২০টি
বেড - ২৯টি
ডবল - ১০ টি
সিংগেল - ৯টি
ভাড়া সিংগেল-৪০/-টাকা,
ডাবল-৮০/- টাকা

ঢাকা হতে দুরত্ব ২২০কিলোমিটার
( সড়ক পথে)
 
০৩
বে - সরকারী
রহমানিয়া আবাসিক হোটেল
মোবাঃ            ০১৯৩৭-৮৬৯০৮১
কক্ষ - ৪০টি
বেড - ৪৮টি
ডাবল - ১১ টি
সিংগেল - ২৮টি
ভাড়া সিংগেল- ৪০/-টাকা,
ডাবল-৮০/- টাকা

১২০ কিঃ মিটার
 
০৪
বে - সরকারী
হোটেল অঞ্জলী
মোবাঃ            ০১৭১২-৩৭০৯১২
০১৭৩৬-৮৫৮৬৮৬
কক্ষ - ২২টি
বেড - ২৫টি
ডবল - ১৯ টি
সিংগেল - ০৩টি
ভাড়া- সিংগেল- ৪০/-টাকা,
ডাবল-৮০/- টাকা
১২০ কিঃ মিটার
 
০৫
সরকারী
সুগারমিল রেস্ট হাউস
-
১২০ কিঃ মিটার
 
০৬
বে - সরকারী
হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ড রেস্ট হাউস
-
১২০ কিঃ মিটার

ডাক্তারের তালিকা

ক্রমিক নং
ডাক্তারদের নাম
কর্মস্থল
ফোন/মোবাইল নং
০১

ডাঃ মোঃ কেরামত আলীশেখ

সিভিল সার্জন
০৪৫১-৬২৩১১
০২

ডাঃ মোঃ আবুবকর সিদ্দিক

সিভিল সার্জন অফিস
০১৭১১১৩১৩৫৩
০৩
ডাঃ মুশতাক আহমেদ
সদর হাসপাতাল
০১৭১২৫০৭৫৭১
০৪
ডাঃ মোঃ হাসানুজ্জামান
সদর হাসপাতাল
০১৭১১৩৯৪৬৩০
০৫ ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
সদর হাসপাতাল
০১৭১১৩১৬৬৬৬
০৬ ডাঃ আলা উদ্দিন আল আজাদ
সদর হাসপাতাল
০১৭১১৯৮৮৩৬৪
০৭ ডাঃ এ. কে. এম কামাল
সদর হাসপাতাল
০১৭১৬৬৯৮৩৬৯
০৮ ডাঃ রতন কুমার পাল
সদর হাসপাতাল
০১৭১১১৪৫৭৬০
০৯ ডাঃ মোঃ মোজহারুল ইসলাম
সদর হাসপাতাল
০১৭১২২৬৯৯৮৬
১০ ডাঃ স্বপন কুমার কুন্ডু
সদর হাসপাতাল
০১৭১৫০১৯৪৭৯
১১ ডাঃ বেগম উম্মে কুলসুম
সদর হাসপাতাল
০১৭১১১১৭৫৪১
১২ ডাঃ মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার
সদর হাসপাতাল
০১৭১৬২৮০৭০৮
১৩
ডাঃ রাশেদা সুলতানা
সদর হাসপাতাল
০১৭১১১৯৫৭৫৪
১৪ ডাঃ অপূর্ব কুমার সাহা
সদর হাসপাতাল
০১৭১৫০৩৯৩৪৫
১৫ ডাঃ মোঃ রেজাউল ইসলাম
সদর হাসপাতাল

১৬ ডাঃ মোঃ হেকমত আলী
সদর হাসপাতাল
০১৭১১৯৮৭২২০
১৭ ডাঃ মোঃ বশিরুল আলম
সদর হাসপাতাল

১৮ ডাঃ চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাস
সদর হাসপাতাল
০১৭১১৪৮৮৯৯১
১৯ ডাঃ দীলিপ কুমার বিশ্বাস
সদর হাসপাতাল

২০ ডাঃ দুলাল কুমার চক্রবর্তী
সদর উপজেলা
০১৭১১১৫৭৭৬১
২১

ডাঃ শামীমা সুলতানা

সদর উপজেলা
০১৭১১৩৯০১০৬
২২
ডাঃ মোঃ সাজ্জাৎ হাসান
সদর উপজেলা
০১৭১২৫৭১০২৬
২৩ ডাঃ শাহানারা সুলতানা
সাগান্না ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭২৬৩৩২২২৫
২৪ ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন
হলিধানী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১২৫৬৭২৯০
২৫
ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিন
পাগলাকানাই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১১৫৭৯০২৩
২৬
ডাঃ মোঃ রাশেদ আল মামুন
সুরাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ

২৭
ডাঃ এ এস এম তানজিলুর রহমান
কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১১৯৬৫২৭৭
২৮
ডাঃ মোঃ আব্দুল খালেক
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১১৮৩৭৫১
২৯ ডাঃ আমীন মোসত্মাফা আলী
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১৫৫৮৫৫৪৮
৩০

ডাঃ খোঃ মোঃ বাবর

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১৪৩১০০৭
৩১ ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১৪৮২০৭৪
৩২

ডাঃ হুমায়ুন সাহেদ

কচুয়া বাজার সাব-সেন্টার
০১৯১৪১২৩৭১৯
৩৩ ডাঃ মোছাঃ নাজমা খাতুন
মির্জাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১৫৬০৭৩৯২
৩৪
ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
শৈলকুপা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১৪৩৩১৪৪০
৩৫ ডাঃ অরুণ কুমার বিশ্বাস
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭২৭২২৪০৮৬
৩৬ ডাঃ আ,স,ম আব্দুর রহমান
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১০২৯৩৪৬
৩৭ ডাঃ মোঃ আলতাফ হোসেন
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১০১৮৩০৪৬
৩৮
ডাঃ মো আব্দুস সাত্তার
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১৭০৯৮০১১
৩৯
ডাঃ মোঃ শাহাজাহান আলী
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৪০
ডাঃ কামরুল হাসান
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭২৮০৭৬৫২৭
৪১ ডাঃ প্রফুল্ল কুমার মজুমদার
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১৮৮৭৩৬১২
৪২ ডাঃমোঃ ওমর খইয়ম
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

৪৩
ডাঃ মোঃ আব্দুর রহমান
বার বাজার সাব-সেন্টার
০১৭১১৪৬৭৮০২
৪৪
ডাঃ কৃষ্ণা রায়
সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১২২৭৬৯৭৪
৪৫ ডাঃ মোঃ মোসলেম উদ্দিন
হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭৩০৩২৪৫৮৮
৪৬
ডাঃ মোঃ রবিউল হাসান
হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১০১১২১০
৪৭

ডাঃ মোঃ আয়ুব আলী

হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১১৫৯৩৩৫
৪৮ ডাঃ মোঃ জামিনুর রশিদ
হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১৯৬৬০৮৭
৪৯
ডাঃ শ্যামল কুমার পাল
জোড়াদহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭১২১০২৪২৩
৫০ ডাঃ এস,এম মুসত্মাফিজুর রহমান
ভায়না ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ

৫১ ডাঃ মোঃ ফজলে আকবর
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১১৯০৯৬২
৫২
ডাঃ মোঃ ইয়াকুব আলী মোড়ল
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১৮২৮৭৭৯০
৫৩
ডাঃ মোঃ আব্দুর রশিদ
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১৩৮০৪১৮
৫৪
ডাঃ প্রভাষ কুমার দাস
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১১৯১৫৩২৯৯৭
৫৫
ডাঃ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম
পাঁচলিয়া সাব-সেন্টার
০১৮১৫৪৭৯২৪০
৫৬
ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ
জয়দিয়া সাব-সেন্টার
০১৭২৮২৩৭৩৯৩
৫৭
ডাঃ মোঃ একরামুল রেজা
বলুহর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭৩৫১৩৮৭৩৩
৫৮ ডাঃ পুরোবী মজুমদার
এলাংগী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৭৩৯১৫১৬৪৮
৫৯ ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ সর্কার
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১৮৮৭০৪৭০
৬০ ডাঃ মোঃ তাহাজ্জেল হোসেন
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১২৫২৩৩১৫৩
৬১
ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
০১৭১১২৮০১৬৯
৬২ ডাঃ মোঃ নাজমুল কবীর
মান্দারবাড়িয়া সাব-সেন্টার
০১৭১১৪৮৭০৮৬
৬৩
ডাঃ অয়ন শংকরশীল
যাদবপুর সাব-সেন্টার

৬৪ ডাঃ মোঃ এখলাসুর রহমান
ফতেপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমঃ
০১৯১১৭৬৯০৬৯


ঝিনাইদহ জেলার ক্লিনিকের ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তালিকা

সরকারী জেলা/উপজেলা হাসপাতালের তালিকাঃ

ক্রমিক নং
প্রতিষ্ঠানের নাম
বেড সংখ্যা
ডাক্তারদের সংখ্যা
অন্যান্য সুবিধাদি
   
     
পু
শূন্য
 
সদরহাসপাতাল, ঝিনাইদহ
১০০
২২
১৭
এ্যাম্বুলেন্স আছে
শৈল্যকুপা উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, ঝিনাইদহ
৩১
২৪
১৬
এ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো
হরিণাকুন্ডু উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, ঝিনাইদহ
৫০
২৯
২৩
এ্যাম্বুলেন্স আছে
কালিগঞ্জ উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, ঝিনাইদহ
৫০
৩১
২২
এ্যাম্বুলেন্স আছে
কোটচাঁদপুর উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, ঝিনাইদহ
৩১
২৫
১৭
এ্যাম্বুলেন্স আছে
মহেশপুর উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্স, ঝিনাইদহ
৩১
৩৩
২৬
এ্যাম্বুলেন্স আছে


ঝিনাইদহ জেলার রেজিষ্ট্রেশন প্রাপও প্রাইভেট ক্লিনিকের তালিকা (সদর উপজেলা)

ক্রমিক নং
জেলা সদর ও উপজেলা ওয়ারী প্রতিষ্ঠানের নাম
 
শামীমা ক্লিনিক, মোঃ শহিদুল ইসলাম,অগ্নীবিনা সড়ক, ঝিনাইদহ
 
হাসান ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজী ,প্রোঃ মোঃ আক্তারুজজামান টিপু,শহীদ মশিউর রহমান সড়ক,ঝিনাইদহ ।
 
ডক্টরস ক্লিনিক,ডাঃকাজী হামিদুননেছা পাখী,থানা পরিষদ সড়ক,ঝিনাইদহ
 
ঋিনাইদহ নার্সিং হোম,প্রোঃ টুকু জদদার,যশোর রোড,পুলিশ লাইনের সামনে
 
তাছলিম ক্লিনিক,প্রোঃ মোঃ আবদুল মান্নান,ঝিনাইদহ
 
ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল,চুয়াডাংগা বাসষট্যান্ড,ঝিনাইদহ
 
­৭
আলফালাহ হাসপাতাল, হামদহ বাসষট্যান্ড, ঝিনাইদহ
 
সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষিটক সেন্টার,প্রোঃ মোছাঃ মরিয়ম রহমান,আরাপপুর বাসষ্ট্যান্ড,ঝিনাইদহ
 
দীপ শিক্ষা ক্লিনিক ও অনির্বান ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, মোঃ সাকিব,
 
১০
সার্জিক্যাল ক্লিনিক, প্রোঃমোছাঃ জেসমিন খাতুন, হাটখোলা ঝিনাইদহ
 
১১
সৃজনী হাসপাতাল, প্রোঃ মোঃ হারুন অর রশীদ হামদ বাসস্ট্যান্ড,ঝিনাইদহ
 
১২
আল আমিন প্রাইভেট হাসপাতাল,প্রোঃ রওশন বিন কদর মিরন, হামদহ, ঝিনাইদহ
 
১৩
ডাক বাংলা নার্সিং হোম, ডাকবাংলো বাজার, ঝিনাইদহ
 
১৪
আল জিজিরা প্রাইভেট হাসপাতালএন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,ডাক বাংলা বাজার
 
১৫
রাবেয়া প্রাঃ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, প্রোঃ মোঃ সোহেল রানা,আহম্মদ সুপার মার্কেট,আরাপপুর,ঝিনাইদহ
 
১৬
সূর্য্যের হাসি ক্লিনিক,শেরেবাংলা রোড,ঝিনাইদহ
 
  প্যাথলজীক্যাল ল্যাবরেটরী
 
১৭
ফিরোজ প্যাথলজী ,প্রোঃ মোঃআঃ আহাদ,ব্যাপারী পাড়া সড়ক, ঝিনাইদহ
 
১৮
মুক্তি প্যাথলজী,প্রোঃ কাজী রবিউল ইসলাম, ব্যাপারী পাড়া সড়ক,ঝিনাইদহ
 

ঝিনাইদহ জেলার রেজিষ্ট্রেশন প্রাপও প্রাইভেট ক্লিনিকের তালিকা (সদর উপজেলা)
১৯
তাছলিম প্যাথলজী প্রোঃ মোঃ আব্দুল মান্নান,কবি গোলাম মোস্তফা সড়ক,ঝিনাইদহ
 
২০
জাহান ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃ মোঃআবু জাফর,কবি সুকান্ত সড়ক,ঝিনাইদহ
 
২১
নবগংগা প্যাথলজী,প্রোঃ কাজী গিয়াস আহম্মেদ, থানা পরিষদ সড়ক,ঝিনাইদহ
 
২২
ক্রিসেন্ট প্যাথলজী,প্রোঃ এস,এম,মহিবুর রহমান,শাপলা চত্তরের পশ্চিমে,ঝিনাইদহ
 

২৩
সমতা প্যাথলজী এন্ড ডায়াগনোষিটক সেন্টার, আদর্শ পাড়া গোরস্থানের পুর্বে,ঝিনাইদহ।
 
২৪
পপুলার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃজয়ন্ত কুমার বিশ্বাস
জেলা পরিষদ মার্কেট,হাসপাতাল গেট,হামদহ,ঝিনাইদহ
 
২৫
শুক্তি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃএম,এ সামাদ,মুন্সি মার্কেট,ঝিনাইদহ
 
২৬
আল মদিনা ডায়াগনোষিটক সেন্টার, প্রোঃ মনিরুল ইসলাম ,মুন্সি এমদাদ সুপার মার্কেট,আরাপপুর, ঝিনাইদহ
 
২৭
যমুনা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ,হামদহ বাসষ্ট্যান্ড, ঝিনাইদহ
 
২৮
আমেনা মেমোরিয়াল ডায়াগনোষ্টিক এন্ড কনসালটেন্সী, প্রোঃ মোছাঃ শাহনাজ পরভীন (লাভলী),৮৯ শেরে বাংলা সড়ক, ঝিনাইদহ
 
২৯
আল আমিন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,মোঃ সানিমুল হাসান(হাফিস)হামদহ, ঝিনাইদহ ।
 
৩০
শাপলা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, প্রোঃ মোঃআব্দুল করিম, ঝিনাইদহ।
 
৩১
শামীমা প্যাথলজী,ডাঃশামীমা সুলতানা,চুয়াডাংগা বাসষ্ট্যান্ড,ঝিনাইদহ
 
৩২
রাবেয়া ডায়াগনোষ্টি সেন্টার,প্রোঃ সোহেল রানা,আরাপপুর,ঝিনাইদহ ।
 
৩৩
সূর্য্যের হাসি ক্লনিক, শেরেবাংলা রোড,ঝিনাইদহ (প্যাথলজী)
 

প্রাইভেট ক্লিনিকের তালিকা (মহেশপুর উপজেলা)

৩৪
মুক্তি ক্লিনিক,প্রোঃআবুল বাসার, খালিশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
 
৩৫
গ্রামীন ক্লিনিক,খালিশপুর,মহেশপুর,ঝিনাইদহ
 
৩৬
সীমা ক্লিনিক,খালিশপুর বাজার,মহেশপুর,ঋিনাইদহ
 
৩৭
মহেশপুর প্রাঃ হাসপাতাল,প্রোঃ শ্রী সুবাস চন্দ্র বিশবাস, সাদ্দাম মোড়,মহেশপুর,ঝিরনাইদহ
 
৩৮
সালেহা ক্লিনিক, প্রোঃ মোছাঃ শারমিন আফরোজ, মহেশপুর হাসপাতাল গেট,মহেশপুর,ঝিনাইদহ
 
৩৯
সুমন এন্ড বিশ্বাস ক্লিনিক,প্রোঃ মোঃ আব্দুল লতিফ, ভৈরবা বাজার,মহেশপুর,ঝিনাইদহ
 
৪০
সুমী ক্লিনিক, প্রোঃ গোলাম মোস্তফা, পুড় পাড়া বাজার, মহেশপুর,ঝিনাইদহ
 
  ডায়াগনোষিটক সেন্টার
 
৪১
কিয়োর ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,মোঃআব্দুল হামিদ,মহেশপুর, ঝিনাইদহ ।
 
৪২
সনো ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,মহেশপুর,ঝিনাইদহ
 

প্রাইভেট ক্লিনিকের তালিকা (শৈলকুপা উপজেলা)ঃ
৪৩
মহিলা ও শিশু ক্লিনিক, প্রোঃ মোঃ মকছেদুর রহমান, কবিরপুর,শৈলকুপা,ঝিনাইদহ
 
৪৪
পশিক সেবা ক্লিনিক, প্রোঃ মোঃ নুরুজ্জামান ফজল,কবিরপুর,শৈলকুপা,ঝিনাইদহ
 
৪৫
তানিশা প্রাইভেট হাসপাতাল,প্রোঃ মোঃ শাহীন আক্তার, কবিরপুর,শৈলকুপা,ঝিনাইদহ
 
৪৬
আয়েশা প্রাঃ হাসপাতাল,কবিরপুর ,শৈলকুপা, ঝিনাইদহ
প্রোঃ মোঃ সাইদুর রহমানসহ ৩ জন ।
 
৪৭
লাঙ্গলবাধ প্রাইভেট ক্লিনিক, লাঙ্গলবাধ বাজার,শৈলকুপা,ঝিনাইদহ
 
  প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী
 
৪৮
আলট্রা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃ,ডাঃ,মোঃ শমীম রেজা,কবিরপুর,শৈলকুপা,ঝিনাইদ
 
৪৯
শৈলকুপা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃ মোঃ মকছেদুর রহমান (রিজু)কবিরপুর, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ
 

প্রাইভেট ক্লিনিকের তালিকা(কালীগজ্ঞ উপজেলা )
৫০
দারুস সেফা (প্রাঃ) হাসপাতাল,প্রোঃ ডাঃ জহুরুল ইসলাম,মধুগজ্ঞ বাজার,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫১
ফাতেমা প্রাঃ হাসপাতাল,প্রোঃ মোঃ জামাল হোসেন,হাসপাতাল রোড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫২
ইবনেসিনা প্রাঃ হাসপাতাল,প্রোঃআঃ রহমান, হাফিজুর রহমান, প্রধান বাসষ্ট্যান্ড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ ।
 
৫৩
সেবা ক্লিনিক,প্রোঃআঃহামিদ ও হারুন অর রশিদ,কোটচাঁদপুর রোড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫৪
কালীগজ্ঞ জেনারেল হাসপাতাল,প্রোঃডাঃ বাহারুল ইসলাম,নীমতলা বাসষ্ট্যান্ড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫৫
মডার্ন সার্জিক্যাল ক্লিনিক,প্রোঃ ডাঃ ভক্ত কুমার মন্ডল,থানা রোড,কালীবগিজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫৬
শান্তনা ক্লিনিক,প্রোঃ গোলাম রববানী,যশোর রোড,কালীগজ্ঞ, ঝিনাইদহ (নাজমা প্রাঃ ক্লিনিক নামে পরিবর্তিত হয়েছে )
 
৫৭
সুমন ক্লিনিক,প্রোঃ আমিন হোসেন বাবু,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫৮
ইসলামী (প্রাঃ) হাসপাতাল,প্রোঃ আরিফুল ইসলাম(টিটু) কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৫৯
হাসনা জোনারেল হাসপাতাল,প্রোঃমোঃআহসানুল হক(টিপু)কোটচাঁদপু রোড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ।
 
৬০
জননী ক্লিনিক,প্রোঃ মিজানুর রহমান,বারবাজার,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৬১
ন্যাশনাল প্রাইভেট হাসপাতাল,প্রোঃডাঃ সদর উদ্দিন, অহমেদ, বারবাজার,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৬২
গরীব শাহ ক্লিনিক,প্রোঃ ইসলাম হোসেন, বারবাজার,কালীগজ্ঞ, ঝিনাইদহ
 
৬৩
নোভা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃশেখ ফারুক আহমেদ,প্রধান বাসষ্ট্যান্ড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৬৪
প্রাইম ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃ এস,এম,কায়উম পারভেজ, কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৬৫
মল্লিকা প্যাথলজী,প্রোঃ ডাঃ ভক্ত কুমার মন্ডল,থানা রোড,কালীগজ্ঞ, ঝিনাইদহ
 
৬৬
সিটি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃরুহুল আমীন, প্রধান বাস ষ্ট্যান্ড, কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 
৬৭
কালীগজ্ঞ ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,প্রোঃ মোঃ আঃ ওয়াদুদ, নীমতলা বাসষ্ট্যান্ড,কালীগজ্ঞ,ঝিনাইদহ
 

প্রাইভেট ক্লিনিক (হরিনাকুন্ডু উপজেলা,ঝিনাইদহ)

৬৮
জনসেবা প্রাইভেট হাসপাতাল,প্রোঃ মোঃ বাবুল আহমেদ,হাসপাতাল মোড়,হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহ
 
৬৯
রেসিডো প্রাইভেট হাসপাতাল, প্রোঃ হাসপাতাল মোড়,হরিনাকুন্ডু,ঝিনাইদহ
 
৭০
আলহেরা ক্লিনিক,প্রোঃ মোঃ সবেদ আলী,হাসপাতাল মোড়,হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ।
 

ডায়াগনষ্টিক সেন্টার
৭১
নিপুন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,হরিনাকুন্ডু,ঝিনাইদহ
 
৭২
শিখা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার,হরিনাকুন্ডু,ঝিনাইদহ
 


প্রাইভেট ক্লিনিক ( কোটচাঁদপুর উপজেলা)

৭৩
জনতা ক্লিনিক, প্রোঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা,বলুহর বাসষ্ট্যান্ড কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ
 
৭৪
কোটচাঁদপুর নার্সিং হোম,প্রোঃ শাহজান কবীরসহ ৪জন, হাসপাতাল রোড,কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ ।
 
৭৫
সামস উদ্দিন মেমোরিয়াল (প্রাঃ) হাসপাতাল, প্রোঃ ডাঃ মোঃ ছহি উদ্দিন,বলুহর বাসষ্ট্যান্ড, কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ ।
 
৭৬
আলরাজী প্রাঃ হাসপাতাল,প্রোঃমোহাম্মদ আলী,প্রোঃ মোহাম্মদ আলী, কলেজ বাসষ্ট্যান্ড রোড,কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ
 
৭৭
প্যাথলজীক্যাল ল্যাবরেটরী
 
৭৮
কর্ণফুলী ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, প্রোঃ সোহেল আরাফাত, বলুহর,বাসষ্ট্যান্ডকোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ
 
৭৯
সামস উদ্দিন মেমোরিয়াল ডায়াগনোষ্টিক কমপ্লে­ক্স,প্রোঃ ডাঃ ছহি উদ্দিন, কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা
স্কুলসমুহের তালিকা ডাউনলোড করুন

ক্রঃ নং
প্রতিষ্ঠানের নাম
প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নাম
ঠিকানা
গ্রাম+ডাকঘর+উপজেলা+জেলা
শিক্ষকের সংখ্যা
ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা
১.
সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সাধন কুমার বিশ্বাস
গ্রাম+পোঃ- গান্না, সদর ঝিনাইদহ।
৪৩৫
২.
চন্ডীপুর বি পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোফাজ্জেল হোসেন
গ্রাম+পোঃ- চন্ডিপুর, সদর, ঝিনাইদহ
১০
৩৫৪
৩.
হরিশংকরপুর জে সি বিদ্যাপীঠ
তোজাম্মেল হক (ভারপ্রাপ্ত)
গ্রাম+পোঃ- হরিশংকরপুরা, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
৫২১
৪.
মনুড়িয়া এম এল উচ্চ বিদ্যালয়
নির্মল কুমার বিশ্বাস
গ্রাম+পোঃ- মুনড়িয়া, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
২৭৭
৫.
চাঁন্দু আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ ওয়াজেদ আলী
গ্রাম- চাঁন্দুয়ালী, বাজার গোপালপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
২১০
৬.
জিয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ ওয়াজেদ আলী
গ্রাম- জিয়ালা বাজার, চন্ডিপুর বাজার সদর, ঝিনাইদহ।
১০
২৪৫
৭.
ধনঞ্জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান
গ্রাম- ধনঞ্জয়পুর, ডাক- হাটগোলাপপুর বাজার, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
২৭২
৮.
মাওলানাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়
মীর মশিয়ার রহমান
গ্রাম-কালা, ডাক- লক্ষীপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
৫২০
৯.
হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ ইউছুফ আলী
গ্রাম- হাট গোপালপুর, ডাক-হাটগোপালপুর বাজার, সদর।
১৮
৯৬২
১০.
দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
অনিলা কুমার কন্ডু
গ্রাম- দর্গাপুর, ডাক- হাট গোপালপুর বাজার, সদর।
১১
২৮৭
১১.
নারিকেলবাড়ীয়া জেড এ হাই স্কুল
মোঃ মোকারম হোসেন
নারিকেলবাড়ীয়া, ডাক- রবিনারিকেলবাড়ীয়া, সদর।
১৭
৫৮৭
১২.
কে বি হাই স্কুল
মোঃ আজমল হোসেন
গ্রাম- রামাননগর, ডাক- পান্নতলা, সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
৩০৭
১৩.
উত্তর নারায়নপুর হাই স্কুল
মোঃ আবু দাউদ
গ্রাম- উত্তর নারায়নপুর, ডাক- সাধুহাটী, সদর., ঝিনাইদহ।
১৩
৬১৮
১৪.
বাজার গোপালপুর মাঃ বিদ্যালয়
মোঃ শাহাব উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত)
গ্রাম- বাজারগোপালপুর, ডাক- বাজারগোপালপুর, সদর।
২৫৩
১৫.
ডেফলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ শহিদুল হক
গ্রাম- ডেফলবাড়ী, ডাক- কুঠিদূর্গাপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
২৪১
১৬.
ইসলামপুর (হরিপুর) কেএফ হাই স্কুল
মোঃ আলমগীর হোসেন
গ্রাম- খড়িখালী, ডাক- খড়িখালী, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
৪২২
১৭.
বিষয়খালী এস এম হাই স্কুল
সাইদুর রহমান
গ্রাম- বিষয়খালী, ডাক- খড়িখালী, সদর, ঝিনাইদহ।
২০
৪৯৮
১৮
নলডাংগা ইব্রাহিম হাই স্কুল
মোঃ আঃ সালাম
গ্রাম- নলডাংগা, ডাক- নলডাংগা, রাজবাড়ী, সদর।
১৩
৪৮৪
১৯.
আড়মুখী জোঃ জাঃ মাঃ বিদ্যালয়
মোঃ আব্দুল মোমিন
গ্রাম- আড়মুখী, ডাক- নলডাংগা, রাজবাড়ী, সদর,
২৯৯
২০.
মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ বদিরুজ্জামান
গ্রাম- মধুপুর, ডাক- গোড়াহাটী, সদর, ঝিনাইদহ।
১৭
৪৪৫
২১.
হলিধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ রইচ উদ্দিন
গ্রাম- হলিধানী, ডাক- টিকারী, বাজার, সদর, ঝিনাইদহ।
২০
৪৪৭
২২.
মোসলেম উদ্দিন মাঃ বিদ্যালয়
মীর নওশের আলী
গ্রাম- খামারাইল, ডাক- পান্নতলা, সদর, ঝিনাইদহ।
১৫
৩২৫
২৩.
টিকারী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নিত্য গোপাল শিকদার
গ্রাম- বংকিরা, ডাক- সরোজগঞ্জ, সদর, ঝিনাইদহ।
১৪
৩৮৮
২৪.
কে পি কে বি মাঃ বিদ্যালয়
মোঃ মাজেদুর রহমান
গ্রাম- খড়িখালীনপুর, ডাক- খড়িখালী, সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
৩৮০
২৫.
বংকিরা হাইস্কুল
মোঃ রবিউল ইসলাম

২২৫
২৬.
খলিখালী মায়াময় বালিকা মাঃ বিদ্যালয়
মোঃ রবিউল ইসলাম
গ্রাম- রংকিরা, ডাক- সরোজগঞ্জ, সদর, ঝিনাইদহ।
১৭
৩৭৭
২৭.
কে বি সম্মিলনী হাইস্কুল
মোঃ মোবাশ্বের (ভারপ্রাপ্ত)
গ্রাম- করাতিপাড়া, ডাক- করাতিপাড়া, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
৩০৮
২৮.
নগরবাথান হাই স্কুল
এম,এ, খালেক মালিতা
গ্রাম- নগরবাথান, ডাক- নগরবাথান, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
৫২৫
২৯.
সাধুহাটি গার্লস হাই স্কুল
মোঃ গোলজার হোসেন
গ্রাম- সাধুহাটি, ডাক- নগরবাথান, সদর, ঝিনাইদহ।
১৫
৩৬৫
৩০.
বেড়বাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শাহী রেজা (ভারপ্রাপ্ত)
গ্রাম- পানামী, ডাক- ডিহিবাকড়ী, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
১৭৪
৩১.
পানামী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গোলাম কিবরিয়া
গ্রাম- পানামী, ডাক- ডিহিবাকড়ী, সদর, ঝিনাইদহ।
২৩৩
৩২.
হীরাডাংগা হাই স্কুল
মোঃ শহীদুল ইসলাম
গ্রাম- হীরাডাংগা, ডাক- হীরাডাংগা, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
২৭০
৩৩.
হুদাপুটিয়া গার্লস হাই স্কুল
মোঃ শহীদুল ইসলাম
গ্রাম- হুদাপুটিয়া, ডাক- সাধুহাটী, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
১৫৪
৩৪.
বারেক আলী হাই স্কুল
মোঃ ইয়ার আলী
গ্রাম- সুরাট, ডাক- বানিয়াবহু, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
৩৪৮
৩৫.
শিশুকুঞ্জু স্কুল এন্ড কলেজ
গাজী জাহিদ হাসান
ঝিনাইদহ ক্যাডেট, ডাক- ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ,
১৭
৫৬৭
৩৬.
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ
জাফর আলী
গ্রাম- চাকলাপাড়া, ডাক- ঝিনাইদহ, সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
৮০৩
৩৭.
আনোয়ার জাহিদ মাঃ বিদ্যালয়
মোঃ শরিফুল ইসলাম
গ্রাম- মথুরাপুর, ডাক- নগরবাথান, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
২৯৭
৩৮.
ফজর আলী গার্লস হাই স্কুল
নাদিরা আখতার
গ্রাম- হামদহ, উপজেলা রোড, ডাক- ঝিনাইদহ, ঝিনাইদহ।
১১
৩৭৪
৩৯.
কাঞ্চয় নগর মেডেল হাইস্কুল
বিশ্বেসস্বর চন্দ্র বিশ্বাস
টি,টি,ডি,সি রোড, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ।
১৮
১০২৮
৪০.
ঝিনাইদহ নিউ একাঃ হাই স্কুল
মোঃ নওশের আলম
আরাপপুর, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ।
১১
১৭১
৪১.
পুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস
গ্রাম- দূর্গা নারায়নপুর পুটিয়া, ডাক- গোয়ালপাড়া, সদর।
১৮
২১৬
৪২.
ঝিনাইদহ ওয়াজীর আলী হাইস্কুল
মোঃ হাবিরুর রহমান
কাঞ্চননগর, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ।
৩৯০
৪৩.
ঝিনাইদহ এস পি হাই স্কুল
সনৎ কুমার মল্লিক
গ্রাম- উত্তর নারায়নপুর, ডাক- সাধুহাটী, সদর, ঝিনাইদহ।
২৩৫
৪৪.
কে কে পি বি হাই স্কুল
মোঃ গোলাম মজিদ খাঁন
গ্রাম- কৃষ্ণপুর, ডাক- বানিয়াকান্দর, সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
২১০
৪৫.
এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ মহিউদ্দিন
গ্রাম- কুলফাডাংগা (তেতুলতলা), ডাক- খড়িখালী, সদর।
২৫০
৪৬.
লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ রুহুল আমীন
গ্রাম- লাউদিয়া, ডাক- রতনহাট, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
১৩৩
৪৭.
আব্দুর রকিব গার্লস হাই স্কুল
ফরিদা বেগম
শহীদ মসিউর রহমান সড়ক, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ
১০
২০৬
৪৮.
জামিলা খাতুন গার্লস হাই স্কুল
মাহবুবুর রহমান
বাঘাযতীন সড়ক, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ
২৯০
৪৯.
বাণিয়াবহু মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গোলাম কিবরিয়া
গ্রাম- বাণিয়াবহু, ডাক- বাণিয়াবহু, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
২৬৮
৫০
রঘুনাথপুর হাই স্কুল
আনান্দ কুমার রায়
গ্রাম- রঘুনাথপুর, ডাক- গান্নাবাজার, সদর, ঝিনাইদহ।
৩০৬
৫১.
ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ মিজানুর রহমান
গ্রাম- ধোপাবিলা, ডাক- নগরবাথান, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
২৪৭
৫২.
হলিধানী বলিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ আঃ খালেক
গ্রাম- হলিধানী, ডাক- হলিধানী, সদর, ঝিনাইদহ।
৩০৭
৫৩.
রামচন্ত্রপুর হাই স্কুল
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
গ্রাম- রামচন্দ্রপুর, ডাক- হলিধানী, সদর, ঝিনাইদহ।
১৫
৫৪২
৫৪.
মধুহাটি হাই স্কুল
মোঃ আব্দুর রহমান
গ্রাম- বড়বাড়ী, ডাক- বাজারগোপালপুর, সদর, ঝিনাইদহ
২০৭
৫৫.
উদয়পুর মতিয়ার রহমান হাই স্কুল
এ, কে, এম জাহিদুল ইসলাম
গ্রাম- উদয়পুর, ডাক- ঝিনাইদহ, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
১৪৮
৫৬.
শৈলজনাথ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
উত্তম কুমার সরকার (ভারপ্রাপ্ত)
গ্রাম- কালীচরণপুর, ডাক- কালীচরণপুর, সদর ঝিনাইদহ।
১৮২
৫৭.
কে পি এইচ হাই স্কুল
অববিন্দু কুমার বিশ্বাস
গ্রাম- কলামনখালী, ডাক- কলামনখালী, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
২১৬
৫৮.
চোরকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ আলাউদ্দিন আলী
গ্রাম- চোরকোল, ডাক- বাজারগোপালপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
২৫৮
৫৯.
আল হেরা ইসলামী ইনস্টিটিউট
মোঃ মোস্তফা কামাল
হামদহ, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ।
১২
৩২২
৬০
বামনাইল পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল
হাজারীলাল বিশ্বাস
গ্রাম- উত্তর নারায়নপুর, ডাক- সাধুহাটী, সদর, ঝিনাইদহ।
২৩৭
৬১.
শিকারপুর হাই স্কুল
মোঃ আনোয়ার হোসেন
গ্রাম- শিকারপুর, ডাক- কালীচরণপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
২৭২
৬২.
এস এম মতলুবুর রহমান হাই স্কুল
মহাঃ আঃ সালাম
পাগলাকানাই, ডাক+উপজেলা+জেলা- ঝিনাইদহ
৩১৭
৬৩.
মুক্তিযোদ্ধা মশিউর মহমান হাই স্কুল
মোঃ আলমাসুর রহমান(ভাঃ)
গ্রাম- আরাপপুর, ডাক- ঝিনাইদহ, সদর, ঝিনাইদহ।
১২
৩৬২
৬৪.
মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান মাঃ বিঃ
মোঃ আলমগীর হোসেন
গ্রাম- পোড়াহাটি, ডাক- পোড়াহাটি, সদর- ঝিনাইদহ।
১১
২০৫
৬৫.
পশ্চিম দূর্গাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
আজিজুর রহমান
গ্রাম- দুর্গাপুর, ডাক- বাজার গোপালপুর, ঝিনাইদহ সদর।
১৩
২৫০
৬৬.
যাত্রাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোছাঃ নাজমুন নাহার
গ্রাম- যাত্রাপুর, ডাক- খড়িখালী, ঝিনাইদহ সদর।
১৫০
৬৭.
কালুহাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ আলমগীল হোসেন
গ্রাম- কালুহাটী, ডাক- কুঠিদুর্গাপুর, ঝিনাইদহ সদর।
১১
২৭২
৬৮.
রাঙ্গিয়ারপোতা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ আলমগীর হোসেন
গ্রাম- রাঙ্গিয়ারপোতা, ডাক- সাধুহাটী, সদর ঝিনাইদহ।
১৬৬
৬৯.
কে, এম, এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ জহির রায়হান
গ্রাম- আটলিয়া, ডাক- চন্ডীপুর, সদর, ঝিনাইদহ।
১০
১৩৮
৭০.
নারায়নপুর পঞ্চথলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বিদেশ কুমার বিশ্বাস
গ্রাম- নারায়নপুর, ডাক- খলিখালী, সদর, ঝিনাইদহ।
১১
২১৪
৭১.
মিয়াকুন্ডু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ শওকত হোসেন
গ্রাম- মিয়াকুন্ডু, ডাক- টিকারী বাজার, সদর ঝিনাইদহ।
১৩৬
৭২.
রজব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোঃ শরিফুল ইসলাম
গ্রাম- কনেজপুর, ডাক- নগরবাথান, সদর ঝিনাইদহ।
১১
২২০
৭৩.
ঝিনাইদহ সদর উচ্চ বিদ্যালয়
মোঃ এবাদুল ইসলাম (ভাঃ)
ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
২৬
৬১৭
৭৪.
ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোছাঃ রোকেয়া খাতুন(ভাঃ)
ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
২৫
৯২৮


মাদ্রাসা পর্যায়ের তথ্য


ক্রঃ
নং
প্রতিষ্ঠানের নাম
প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নাম
ঠিকানা
গ্রাম+ডকাঘর+উপজেলা+জেলা
শিক্ষকের সংখ্যা
ছাত্র/ছাত্রীর নাম
১.
সাপান্ন দাখিল মাদ্রসা
মোঃ শাহ আলম ভূইয়া
গ্রাম+ডাক- সাগান্না, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
১০
৩৪৭
২.
ঘোরশাল হামিদিয়া দাখিল মাদ্রসা
মোঃ ওয়াজের আলী
গ্রাম- ঘোরশাল, ডাক- মুনুড়িয়া ঝিনাইদহ সদর।
১৪
৫৫০
৩.
হাট গোপালপুর ভোমরাডাঙ্গা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আকতার উদ্দিন
গ্রাম- ভোমারাডাঙ্গা, ডাক- হাটগোপালপুর, ঝিনাইদহ।
১৪
২৮৭
৪.
লাউদিয়া পীর দেওয়ান দাখিল মাদ্রসা
মোঃ ফজলুর রহমান (সহ-সুপার)
গ্রাম+ডাক- রতনহাট, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
১০
২৭১
৫.
কুঠিদুর্গাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রসা
মোঃ শরিফুল ইসলাম
গ্রাম+ডাক- কুঠিদুর্গাপুর, ঝিনাইদহ সদর
১৫
৩৯২
৬.
উত্তর কাষ্ট সাগরা এস, ডি দাখিল মাদ্রসা
মোঃ লিয়াকত আলী
গ্রাম- উঃ কাষ্টসাগরা, গোড়াহাটী, ঝিনাইদহ সদর।
১৪
৩৯১
৭.
কালুহাটি দাখিল মাদ্রসা
মোঃ ওবায়দুর রহমান
গ্রাম- কালুহাটি, ডাক- কুঠিদুর্গাপুর, ঝিনাইদহ সদর।
১৬
৩২৬
৮.
কানুহারপুর হাজী আলী দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আঃ সাত্তার
গ্রাম- কানুহরপুর, ডাক- খড়িখলি, ঝিনাইদহ সদর।
১৪
৩৪২
৯.
হলিধানী আহমেদীয়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রসা
মোঃ সিরাজুল হক, অধ্যক্ষ
গ্রাম+ডাক-হলিধানী, ঝিনাইদহ সদর।
১৮
৩৯৬
১০.
নূরনগর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসা
মোঃ রুহুল কুদ্দুস, অধ্যক্ষ
গ্রাম- নাচনা, ডাক- রতনহাট, ঝিনাইদহ সদর।
১৭
২৭৫
১১.
ভুটিয়াগাতী রসুলপুর দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আবুবকর সিদ্দিক
গ্রাম- ভুটিয়াগাতী, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ।
১৩
৩৮৩
১২.
রয়রাতলা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ রবিউল ইসলাম
গ্রাম- আড়মুখী, ডাক- নলডাঙ্গা, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ।
১২
৩০৩
১৩.
আড়মুখী দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আব্দুল জলিল
গ্রাম- দোগাকুলা, ডাক- টকারী বাজার, ঝিনাইদহ।
১৩
৪০৭
১৪.
দোহাকুলা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আঃ মতিন
গ্রাম- বেড়াগুলা, চন্ডিপুর, বাজার, ঝিনাইদহ।
১২
৩৯১
১৫.
বেড়াশুলা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ হাবিবুর রহমান
গ্রাম- উঃ নারায়নপুর, ডাক- সাধূহাটি, ঝিনাইদহ।
১০
২৯৫
১৬.
উত্তর নারায়নপুর দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আব্দুল্লা আল মাহমুদ
গ্রাম- ভূপতিপুর, ডাক- পোড়াহাটী, ঝিনাইদহ।
১৪
৫৬৮
১৭.
মধুপুর দাখিল মাদ্রসা
মোঃ ফরিদউদ্দিন সামদানী
গ্রাম+ডাক- ঝিনাইদহ, ঝিনাইদহ সদর
১৩
৪০৫
১৮.
ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা
মোঃ রহুল কুদ্দুস, অধ্যক্ষ
মহিলা কলেজ রোড় ,ঝনাইদহ
সদর ঝিনাইদহ।
১৫
৭৭৪
১৯.
ঝিনাইদহ মহিলা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ হারুনর রশিদ
গ্রাম- বাড়িবাথান, ডাক- বালিয়াকন্দর, ঝিনাইদহ সদর।
১৩
২১৯
২০.
বারী বাথান আদর্শ দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আবুল কাশেম
গ্রাম- মহিষকুন্ডু, ডাক- ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহ সদর।
১০
৩৬০
২১.
পঞ্চগ্রাম মুঃ মশিউর রহমান দাখিল মাদ্রসা
ক্বারী মোঃ আজিজুর রহমান
গ্রাম+ডাক-চন্ডীপুর বাজার, ঝিনাইদহ সদর।
১২
২৩৬
২২.
চন্ডীপুর পাইনজান আলী দাখিল মাদ্রসা
মোঃ অলি উল্লাহ
গ্রাম+ডাক- বাজার গোপালপুর, ঝিনাইদহ সদর।
১১
৩১০
২৩.
দারুল ইহসান দাখিল মাদ্রসা
মোঃ আব্দুল লতিফ (সহঃসুপার)
গ্রাম- দোগাকুলা, ডাক- টকারী বাজার, ঝিনাইদহ।
১২
২৩৬
২৪.
আসান নগর মহিলা দাখিল মাদ্রসা
মোঃ হামিদুর রহমান
গ্রাম- আসাননগর, ডাক- বদরগঞ্জ বাজার, ঝিনাইদহ।
১১
৩১০
২৫.
রাকু আদর্শ দাখিল মাদ্রসা
ওয়ালিউর রহমান, (সহঃসুপার)
গ্রাম- পূর্ব কুমড়াবাড়ীয়া, ডাক- নগরবাথান, ঝিনাইদহ।
১১
২৬৩
২৬.
নলডাঙ্গা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রসা
মোঃ ইকবার আনোয়ার
গ্রাম+ডাক- নলডাঙ্গা, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ সদর।
১৪
১৮৪
২৭.
গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রসা
মোঃ মিজানুর রহমান
গ্রাম- গোবিন্দপুর, ডাক- সরোজগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
১২
৩৭৩



যোগাযোগ ব্যবস্থা
সড়ক পথ   ঃ রাজধানী ঢাকা হতে ঝিনাইদহে আসার মাধ্যম সড়ক পথ ।সড়ক পথে ঢাকা হতে ঝিনাইদহের
দুরত্ব ২১০ কিঃ মিঃ।
ট্রেন পথ ঃ ঢাকা হতে সরাসরি ঝিনাইদহে আসার জন্য ট্রেন যোগাযোগ নেই।
নৌপথ ঃ নৌপথে ঢাকার সাথে ঝিনাইদহের কোন যোগাযোগ নেই।
আকাশ পথ ঃ ঢাকা হতে ঝিনাইদহে আসার জন্য সরাসরি বিমান যোগাযোগ নেই।তবে ঢাকা হতে বিমানযোগে যশোর বিমান বন্দরে এসে যশোর হতে সড়ক পথে ঝিনাইদহে আসা যায়। যশোর হতে ঝিনাইদহের দুরত্ব ৪৫ কিঃ মিঃ।
সড়ক পথে এসি, নন এসি, চেয়ার কোচ, নরমাল কোচে ঢাকা হতে ঝিনাইদহে আসা যায়।এছাড়া লোকাল বাসে ঢাকা হতে আরিচাফেরিঘাট এবং ফেরিপার হয়ে সেখান থেকে ফরিদপুর। ফরিদপুর হতে মাগুরা, এরপর মাগুরা হতে ঝিনাইদহে আসা যায়।
ঢাকা-ঝিনাইদহ সড়কপথে যেসকল পরিবহন চলাচল করে তার বিস্তারিত বিবরণ ঃ
পরিবহনের নাম ও যোগাযোগ
ঢাকা হতে ছাড়ার সময়
ঝিনাইদহে পৌছানোর সময়
ঝিনাইদহ হতে ছাড়ার সময়
ঢাকা পৌছানোর সময়
যাত্রীপ্রতি ভাড়া
(টাকা)
জে,আর পরিবহন
মোবাঃ- ঢাকা
০১৭১৯৮১৮৪৮৩
মোবাঃ- ঝিনাইদহ
০১৭১১১৬৮০৪৩
সকাল-৭.৩০মিঃ
সকাল-৮.৩০মিঃ
সকাল-৯.০০মিঃ
সকাল-১০.৩০মিঃ
বেলা-১২.৩০মিঃ
দুপুর-২.০০ মিঃ
বেলা-৩.১৫ মিঃ
বেলা-৩.৪৫ মিঃ
বিকাল-৫.০০মিঃ
বিকাল-৫.৪৫মিঃ
রাত-৮.০০ মিঃ
রাত-৯.৩০ মিঃ
রাত-১০.৩০মিঃ
১১.৩০মিঃ
১২.৩০মিঃ
১৩.০০মিঃ
২.৩০ মিঃ
৪.৩০ মিঃ
৬.০০ মিঃ
৭.১৫ মিঃ
৭.৪৫ মিঃ
৯.০০ মিঃ
৯.৪৫ মিঃ
১২.০০মিঃ
১২.৩০মিঃ
০২.৩০মিঃ
ভোর- ৫.০০ মিঃ
সকাল-৮.১৫ মিঃ
সকাল-৯.০০ মিঃ
সকাল-১০.০০মিঃ
সকাল-১০.৩০মিঃ
সকাল-১১.৩০মিঃ
বেলা- ১২.৩০মিঃ
বিকাল-৪.১৫ মিঃ
রাত-১০.১৫ মিঃ
রাত-১০.৩০ মিঃ
রাত-১০.৪৫ মিঃ


৯.০০ মিঃ
১২.১৫ মিঃ
০১.০০মিঃ
০২.০০মিঃ
০২.৩০মিঃ
০৩.৩০মিঃ
০৪.৩০মিঃ
০৮.১৫মিঃ
০২.১৫মিঃ
০২.৩০মিঃ
০২.৪৫মিঃ
২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ)
দর্শনা ডিলাঃ
মোবাঃ ঝিনাইদহ-
০১৭১১১৩৬৯৮৩
সকাল-৭.৪৫ মিঃ
সকাল-৮.৩০ মিঃ
সকাল-১১.৩০মিঃ
দুপুর-১.৩০ মিঃ
দুপুর-২.৩০ মিঃ
দুপুর-৪.৩০ মিঃ
সন্ধা-৬.০০ মিঃ
রাত-৯.০০ মিঃ

১২.০০ মিঃ
০১.৩০মিঃ
০২.০০ মিঃ
৫.০০ মিঃ
৭.০০ মিঃ
৯.০০ মিঃ
১০.৩০মিঃ
০১.৩০মিঃ

ভোর- ৫.০০ মিঃ
সকাল-০৭.০৫মিঃ
সকাল-৯.১৫ মিঃ
সকাল-১০.৪৫মিঃ
সকাল-১২.০০মিঃ
বিকাল-৪.৩০মিঃ
রাত-১০.৩০মিঃ

৯.৩০ মিঃ
১২.৩৫ মিঃ
০১.৪৫ মিঃ
০৩.১৫ মিঃ
০৪.৩০ মিঃ
৯.০০ মিঃ
০৩.০০ মিঃ
২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ




পূর্বাশা পরিবহন
মোবাঃ ঝিনাইদহ
০১৯২৪৩২৪৮৮১
০১৯১৭১৭৩২৩৬
মোবাঃ-ঢাকা
০১৭১৯৮৮৮৪২৪

সকাল-৮.০০মিঃ
সকাল-০৯.১৫মিঃ
বেলা-১১.০০মিঃ
দুপুর-০১.৩০মিঃ
বেলা-০৩.১৫মিঃ
বিকাল-০৫.১৫মিঃ
সন্ধা-০৬.৩০মিঃ
রাত-১০.০০মিঃ
১২.৩০মিঃ
০১.৪৫মিঃ
০৩.৩০মিঃ
০৬.০০মিঃ
০৭.৪৫মিঃ
০৯.৪৫মিঃ

১১.০০মিঃ
০২.৩০মিঃ

ভোর-৪.৩০মিঃ
সকাল-৭.৩০মিঃ
সকাল-৮.৪৫মিঃ
সকাল-১০.১৫মিঃ
বেলা-১১.৪৫মিঃ
দুপুর-২.১৫মিঃ
বিকাল-০৩.১৫মিঃ
রাত-১০.৪৫মিঃ
০৯.০০মিঃ
১২.০০মিঃ
০১.১৫মিঃ
০২.৪৫মিঃ
০৪.১৫মিঃ
০৬.৪৫মিঃ
০৭.৪৫মিঃ

০৩.১৫মিঃ

২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ




চুয়াডাঙ্গা ডিলাঃ
মোবাঃ ঝিনাইদহ
০১৭১২০১৭৪৯৬

সকাল-০৭.০০মিঃ
সকাল-০৮.০০মিঃ
বেলা-১০.০০মিঃ
দুপুর-১২.০০মিঃ
দুপুর-০২.৩০মিঃ
বেলা-০৩.৪৫মিঃ
বিকাল-০৫.০০মিঃ
রাত-০৮.০০মিঃ
রাত-১০.০০মিঃ

১১.৩০মিঃ

১২.৩০মিঃ
০২.৩০মিঃ

০৪.৩০মিঃ
০৭.০০মিঃ

০৮.১৫মিঃ

০৯.৩০মিঃ
১২.৩০মিঃ

০২.৩০মিঃ
ভোর-০৫.০০মিঃ
ভোর-০৬.১৫মিঃ
সকাল০৮.০০মিঃ
সকাল-০৯.১৫মিঃ
সকাল-১০.৪৫মিঃ
দুপুর-০২.৪৫মিঃ
বিকাল-০৪.১৫মিঃ
রাত-১০.৩০মিঃ
রাত-১০.৪৫মিঃ
০৯.৩০মিঃ
১০.৪৫মিঃ
১২.৩০মিঃ
০১.৪৫মিঃ
০৩.১৫মিঃ
০৭.১৫মিঃ
০৮.৪৫মিঃ
০৩.০০মিঃ
০৩.১৫মিঃ
২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ

এস,বি পরিবহন
(বঙ্গুবন্ধু সেতু হয়ে)




সকাল-০৮.২০মিঃ
দুপুর-০৩.৪৫মিঃ
রাত-০৯.২০মিঃ
০২.২০মিঃ
০৯.৪৫মিঃ
০৩.২০মিঃ


মামুন পরিবহন
মোবাঃঝিনাইদহ
০১৯১৫৬০০৩৬৫
(বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে)
এসি
বিকাল-০৪.০০মিঃ
রাত-০৯.০০ মিঃ
রাত-১০.০০মিঃ
নন-এসি
ভোর-০৪.০০ মিঃ হতে ১০ মিঃ পর পর



বিকাল-০৪.৩০মিঃ
সন্ধা-০৬.০০মিঃ




মেহেরপুর ডিলাঃ
সকাল-০৯.০০মিঃ
বিকাল-০৩.০০মিঃ
রাত-০৯.৩০ মিঃ
০১.৩০মিঃ
০৭.৩০মিঃ
০২.০০মিঃ
সকাল-০৬.৩০মিঃ
বেলা-১০.৩০মিঃ
রাত-১১.৩০মিঃ
১১.০০মিঃ
০৩.০০মিঃ
০৪.০০মিঃ
২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ)
এস,এম পরিবহন




সকাল-০৯.২০মিঃ
বেলা-১১.০০মিঃ
রাত-১১.৩০মিঃ




হানিফ পরিবহন
মোবাঃঝিনাইদহ
০১৭১২৯৫২৯৭২
(যমুনা সেতু হয়ে)





ভোর-০৬.০০মিঃ
সকাল-০৮.০০মিঃ
সকাল-০৯.০০মিঃ
সকাল-১০.০০মিঃ
বেলা-১১.০০মিঃ
দুপুর-০১.০০মিঃ
সন্ধা-০৭.০০মিঃ
রাত-১০.০০মিঃ
১২.০০মিঃ
০২.০০মিঃ

০৩.০০মিঃ
০৪.০০মিঃ

০৫.০০মিঃ
০৭.০০মিঃ
০১.০০মিঃ
০৪.০০মিঃ
২৮০/-
(দুইশত আশি)
দিগন্ত পরিবহন
(নরমাল কোচ)
মোবাঃ ঝিনাইদহ
০১৭২৯৭৬৭৫২৮




সকাল-১০.৩০মিঃ
বেলা-১১.৩০মিঃ
দুপুর-১২.১৫মিঃ
দুপুর-০১.১৫মিঃ
দুপুর-০২.১৫মিঃ
দুপুর-০৩.৩০মিঃ
রাত-১০.৪০মিঃ
০৩.৩০মিঃ

০৪.৩০মিঃ
০৫.১৫মিঃ
০৬.১৫মিঃ
০৭.১৫মিঃ
০৮.৩০মিঃ
০৩.৪০মিঃ
১৫০/-
(একশত পঞ্চাশ)
ঈগল পরিবহন






সকাল-০৯.৪৫মিঃ
বিকাল-০৪.৩০মিঃ
রাত-১১.৪৫মিঃ
০২.৪৫মিঃ
০৯.৩০মিঃ
০২.৪৫মিঃ
১৫০/-
(একশত পঞ্চাশ
সোহাগ পরিবহন
(নরমাল কোচ)
মোবাঃঝিনাইদহ
০১১৯১৫৩৩৬৮০





সকাল-০৬.০০মিঃ
সকাল-০৭.০০মিঃ
সকাল-০৭.৩০মিঃ
সকাল-০৯.১৫মিঃ
বেলা-১১.১৫ মিঃ
দুপুর-১২.১৫ মিঃ
১১.০০মিঃ

১২.০০মিঃ

১২.৩০মিঃ
০২.১৫মিঃ

০৪.১৫মিঃ
০৫.১৫মিঃ
১৫০/-
(একশত পঞ্চাশ)






দুপুর-০১.৪৫ মিঃ
দুপুর-০২.৪৫ মিঃ
বিকাল-০৪.১০ মিঃ
বিকাল-০৫.১০মিঃ
রাত-১১.২০মিঃ
রাত-১২.০ ০মিঃ
০৬.৪৫মিঃ

০৭.৪৫মিঃ
০৯.১০মিঃ

১০.১০মিঃ
০৪.২০মিঃ
০৫.০০মিঃ





শ্যামলী পরিবহন
মোবাঃঝিনাইদহ
০১৭১১২৬৫২৬৫




সন্ধা-০৭.০০মিঃ
১২.৩০মিঃ
২৫০/-
(দুইশত পঞ্চাশ)

জেলার অভ্যান্তরীন যোগাযোগ

রুট
যাত্রিপ্রতি ভাড়া(টাকা)
রুট
যাত্রিপ্রতি ভাড়া(টাকা)
রুট
যাত্রিপ্রতি ভাড়া(টাকা)
ঝিনাইদহ হতে কুষ্টিয়া
৪০/-
(চল্লিশ)
ঝিনাইদহ হতে শেখপাড়া(ইসলামী বিঃ বিদ্যাঃ)
১৮/-
(আঠার)
ঝিনাইদহ হতে বারবাজার
২৫/-
(পচিঁশ)
ঝিনাইদহ হতে
চুয়াডাঙ্গা
৪০/-
(চল্লিশ)
ঝিনাইদহ হতে গাড়াগঞ্জ
১২/-
(বার)
ঝিনাইদহ হতে ডাকবাংলা বাজার
১২/-
(বার)
ঝিনাইদহ হতে
যশোর
৪০/-
(চল্লিশ)
ঝিনাইদহ হতে শৈলকুপা
২১/-
(একুশ)
ঝিনাইদহ হতে হাটগোপালপুর
১২/-
(বার)
ঝিনাইদহ হতে মাগুরা
৩০/-
(ত্রিশ)
ঝিনাইদহ হতে কালীগঞ্জ
১৫/-
(পনের)
ঝিনাইদহ হতে হরিণাকুন্ডু
২৫/-
(পচিঁশ)



মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা

ঝিনাইদহ জেলা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ গুরূত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বাঙালী জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হলো-আমাদের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে এ জেলার অধিবাসীগণ বারুদের স্ত্তুপের মতো একযোগে বিস্ফোরিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিশিখা জেলেছিল রণাঙ্গনে, শহরে-বন্দরে, গ্রাম-গঞ্জে। তদানীন্তন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন এই মর্মে রেসকোর্স ময়দানে ‘‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’ এবং ‘‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল’’ বলে আহবান জানালেন তখন ঝিনাইদহেও অবরোধ প্রস্ত্ততি ব্যাপকভাবে শুরু হয় এবং গঠিত হয় সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন জে কে এম এ আজিজ, মাননীয় এম,সি,এ, জনাব মাইনুদ্দিন মিয়াজী, মাননীয় এম,সি,এ, (সদস্য), এ বি এম গোলাম মজিদ, মাননীয় এম,সি,এ, (সদস্য), কাজী খাদেমূল ইসলাম(সদস্য), নূরুন্নবী সিদ্দিকী(সদস্য), এহিয়া মোল্লা(সদস্য), জনাব আব্দুল গফুর(শহীদ সদস্য), জনাব তাইজুদ্দিন(সদস্য),জনাব সিরাজুল হক(সদস্য), জনাব সিরাজুল ইসলাম(সদস্য) প্রমূখ।
বিষয়খালী যুদ্ধ
১লা এপ্রিল, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় হঠাৎ খবর আসলো হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিষয়খালী আক্রমণের। তড়িৎ গতিতে মুক্তিবাহিনী প্রধান মাহবুব সাহেব প্রতিরোধ বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন বিষয়খালী অভিমুখে। উভয় পক্ষে সামনা সামনি যুদ্ধ হলো। এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সমর। ভীষণ যুদ্ধ হয়েছিল ঠিক দুপুর একটার সময়। আমাদের দেশের টগবগে তরুণরা অনভিজ্ঞ এবং তাদের ছিলনা ভারি কোন অস্ত্র, কিন্তু তাতে কি? মাতৃভূমির পবিত্রতা রক্ষা করতে তারা মরণকে হাসিমুখে বরণ করতে রাজী। কামানের গোলা ব্যর্থ হয়ে গেল তাদের অসীম সাহসের কাছে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী অতিক্রম করতে পারলোনা বিষয়খালী নদী, তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল যশোর ক্যান্টনমেন্টে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুদ্ধ বিজয়ের গৌরবের প্রথম মাইল ফলক স্থাপন করল এই বিষয়খালীর যুদ্ধে। এই যুদ্ধের কাহিনী প্রথম বিদেশী রেডিও বিবিসি, ফরাসি বার্তা সংস্থা এবং অস্ট্রেলীয় রেডিও এবিসিতে প্রচারিত হয়।
গেরিলা আক্রমণঃ
ভারতে ট্রেনিং প্রাপ্ত ঝিনাইদহ জেলার নওজোয়ানরা মুক্তিবাহিনীর নির্দেশ মত নিজেদের ভিতরে এবং তাদের দোসর রাজাকারদের সমূলে বিনাশ করতে থাকে। এমন কয়েকটা প্রচন্ড গেরিলা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল শৈলকুপা উপজেলায়। উল্লেখযোগ্যগুলি হচ্ছে (১) শৈলকুপা থানা আক্রমণ (২) কামান্নার যুদ্ধ (৩) আবাইপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনের যুদ্ধ (৪) আলফাপুরের যুদ্ধ। কামান্নার যুদ্ধে ২৭ জন এবং আবাইপুরে ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কামান্নার মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা নজরুল ইসলাম শহীদ হন। স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পর কামান্নাতে নিহত ২৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ঝিনাইদহ শহরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। আলফাপুরে নেতৃত্ব দেন শৈলকুপা থানা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রধান মন্টু, আবু আহমেদ, সোনা মোল্লা এবং শ্রীপুরে আকবর চেয়ারম্যান। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর ২ জন ক্যাপ্টেন, ৩ জন সিপাহী এবং ৪ জন রাজাকার নিহত হয়। গেরিলাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শহরের এবং গ্রাম-গঞ্জের অধিকাংশ লোক গেরিলাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করে স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করে তোলো।
প্রত্যক্ষ ও সম্মখ সমরঃ
১৯৭১ এর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একদিকে গেরিলাযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে অপর দিকে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী যৌথভাবে (মিত্রবাহিনী) সীমান্ত অতিক্রম করে ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং মুক্ত এলাকার সৃস্টি করে। ডিসেম্বরের ৩ /৪ তারিখে মহেশপুর, কোটচাঁদপুর এবং চুয়াডাঙ্গা এলাকা দিয়ে কপোতাক্ষ ও চিত্রানদী অতিক্রম করে ৫ও ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ পৌছে। মিত্র বাহিনীকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাধা না দিয়ে ছত্রভংগ হয়ে পলায়ন করে। ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ শহর তথা জেলা হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে।
দলমত নির্বিশেষে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের ৭/৮ ডিসেম্বর হত্যা করার হানাদারদের নীলনক্সা বিফল হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই ঝিনাইদহ হল স্বাধীন। যে ঝিনাইদহ প্রথম সম্মুখ সমরে বিষয়খালীর যুদ্ধে জয়লাভ করে সেই ঝিনাইদহ-ই সমগ্র দেশের স্বাধীনতা লাভের আগে স্বাধীনতা লাভ করে।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই তালিকা প্রণয়ন জাতীয় কমিটি কর্তৃক সর্বশেষ প্রকাশিত সরকারী গেজেট মোতাবেক উপজেলা ওয়ারী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা।

ক্রমিক নং
উপজেলার নাম
বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা
০১
ঝিনাইদহ সদর
২৭০
০২
কোটচাঁদপুর
১৫২
০৩
কালীগঞ্জ
৩১৭
০৪
মহেশপুর
৩৫৩
০৫
শৈলকুপা
৫৬০
০৬
হরিণাকুন্ডু
১৮৫
 
মোট =
১৮৩৭



কালীপদ বসু (কে,পি বসু) (১৮৬৫-১৯১৪)
বাংলার বিখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক কালীপদ বসু (কে,পি বসু) ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহিমা চরণ বসু। কে,পি বসুর শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় নিজ গ্রামের পাঠশালায় মেধাবী শিক্ষক নছিমউদ্দিন মন্ডলের কাছে। কে,পি বসুর গণিতমনস্কতা সৃষ্টিতে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। তিনি ১৮৯২ সালের দিকে ঢাকা কলেজে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এবং আমৃত্যু ঐ কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কে,পি বসু স্বগ্রামের মেঘমালা ঘোষকে বিয়ে করেন। ব্যক্তিগত জীবনে এ মহান গণিতবিদ অত্যন্ত সদালাপী, অমায়িক ও অনাড়ম্বর ছিলেন।
শিক্ষকতা জীবনে তিনি পাঠদানের মধ্যেই নিজের কর্মকান্ডকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ১৮৮২ সালে হান্টার কমিশনের সুপারিশকৃত ইউরোপীয় সংস্করণ ‘আধুনিক এলজাবরা' বইটির অধ্যয়ন ও অনুশীলনের পথকে সুগম, প্রাঞ্জল ও সহজ করে তোলেন। অসংখ্য নতুন অংক উদ্ভাবন করে এ শাস্ত্রের কলেবর বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধন করেছেন।অধ্যাপনার সাথে সাথে তিনি এ্যালজাবরা ও জ্যামিতি শাস্ত্রের উপর গবেষণা চালিয়ে যান। তাঁর ঐকান্তিক সাধনায় "এলজাবরা মেড ইজি' "মডার্ণ জিওমেট্রি' "ইন্টারমিডিয়েট সলিড জিওমেট্রি' প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণীত হয়। প্রকাশনা শিল্পের প্রতিও তার মনোযোগ আকৃষ্ট হয়। তিনি কলকাতায় কে,পি বসু পাবলিশিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন।
মেধা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের বলে তিনি প্রতিষ্ঠা অর্জন ও প্রভূত অর্থের মালিক হয়েছিলেন। ১৯০৭ সালে তিনি স্ব-গ্রামে প্রাসাদোপম এক ভবন নির্মাণ করেন। তিনি ১৯১৪ সালে পার্নিসাস ম্যালেরিয়া জ্বরে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ ঝিনাইদহ এসে পৌঁছালে ঝিনাইদহের সকল অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শোকাভিভূত হাজার হাজর মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নবগঙ্গা নদীর তীরে উপস্থিতত হয়। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

কবি গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪)
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ১৮৯৭ সালে বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি গোলাম মোস্তফা জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী গোলাম রাব্বানী ও মাতা বিবি শরীফুন্নেসা।কবি শৈলকুপা হাইস্কুল থেকে ১৯১৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, দৌলতপুর কলেজ থেকে ১৯১৬ সালে আই,এ এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯১৮ সালে বি,এ পাশ করেন। ১৯২০ সালে ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর সরকারী হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষকরুপে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,টি পাশ করেন এবং প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হয়ে ১৯৪৬ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুলে যোগদান করেন। ১৯৫০ সালে তিনি চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার গঠিত ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব ছিলেন। গীত রচনা, কাব্য, উপন্যাস, জীবনী, অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় তাঁর স্বছন্দ পদচারণা ছিল। ১৯১৩ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে "আদ্রিয়ানোপল উদ্ধার' কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
তাঁর প্রকাশিত গ্রস্থঃ কাব্য-রক্তরাগ (১৯২৪), খোশরোজ (১৯২৯), কাব্য কাহিনী (১৯৩২), সাহারা (১৯৩৬), হাসনাহেনা (১৩৩৪), তারানা-ই-পাকিস্তান (১৯৪৮), বনি-আদম (১৯৫৮); উপন্যাস-রুপের নেশা (১৩২৬), ভাঙ্গাবুক (১৩২৮), একমন এক প্রাণ; জীবনী-বিশ্বনবী (১৯৪২) ; ইসলাম বিষয়ক গ্রমহ-ইসলাম ও জেহাদ (১৯৪৭), ইসলাম ও কমিউনিজম (২য় সং -১৯৪৯), মরু দুলাল; প্রবন্ধ পুস্তক-আমার চিন্তাধারা (১৯৬২) ; অনুবাদগ্রন্থ-মুসাদ্দাস-ই-হালী (১৯৪৯), মুরু দুলাল; প্রবন্ধ পুস্তক-আমার চিন্তাধারা (১৯৫৮) শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০), জয়পরাজয়। এছাড়া গীতি সঞ্চয়ন (১৯৬৮) এবং গোলাম মোস্তফা কাব্য গ্রন্থাবলী (১৯৬০) "বিশ্বনবী' গ্রন্থখানি গদ্য সাহিত্য তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান। তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য হল সহজ সাবলীল শিল্পসম্মত প্রকাশ ও ছন্দ লালিত্য। তাঁর কাব্যে মুসলিম জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রকাশ পায়। তিনি গীতিকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর নিজের সুরারোপিত বেশ কয়েকটি গানের রেকর্ডও পাওয়া যায়। ১৯৫২ সালে যশোর সাহিত্য সংঘ "কাব্য সুধাকর' ও ১৯৬০ এ পাকিস্তান সরকার "সিতারা-ই-ইমতিয়াজ' উপাধি দেয়। ১৯৬৪ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন
কবি পাঞ্জু শাহ (১৮৫১-১৯১৪)
মরমী সাধক পাঞ্জু শাহ ১৮৫১ সালে (বাংলা ১২৫৮) সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা খাদেম আলী খোন্দকার, মাতা জোহরা বেগম। খাদেম আলী খোন্দকার তাঁর পিতার মৃত্যুর পর পিতার জমিদারী প্রাপ্ত হন।পাঞ্জু শাহ পারিবারিক নিয়মানুযায়ী বাড়ীতে আরবী ও ফারসী ভাষা গৃহশিক্ষকের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি মহর আলী বিশ্বাসের কাছে গোপনে বাংলা ভাষা শেখেন।
শৈশব কাল থেকেই তিনি মরমীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হলেও পিতার ভয়ে তিনি তা প্রকাশ করতেন না। পিতার মৃত্যুর পরই তিনি প্রকাশ্যে হরিশপুরের মরমী সাধকদের কাছে যাতায়াত শুরু করেন এবং অচিরেই মরমীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হিরাজতুল্লাহ খন্দকারের কাছে দীক্ষা নিয়ে মরমী সাধনায় ব্রতী হন। এ সময়ে তিনি প্রচুর আধ্যাত্মিক সঙ্গীত রচনা করেন যা সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও তিনি "ছহি ইস্কি ছাদেকী গওহোর' নামে একখানি কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন। এ কাব্যখানি তাঁর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কীর্তি হিসেবে বিবেচিত।
মরমী কবি লালন শাহ (১৭৭২-১৮৯০)
মরমী বাউল কবি লালনশাহ বাংলা বাউলকুলের শিরোমনি। তাঁর মনীষার দীপ্তি দেশ ও কালের গন্ডী পেরিয়ে   চিরন্তনতায় সতত সঞ্চরণশীল। লোকায়ত বাংলার অন্যান্য অনেক প্রতিভাবানদের মতই তাঁর সঠিক পরিচয় আজও স্থিরীকৃত নয়। তাঁর জম্মস্থান সম্পর্কে পন্ডিত ও গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্য দুদ্দুশাহের বক্তব্য অনুযায়ী ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ১১৭৯ সালের ১কার্তিক (১৭৭২, ১৪ অক্টোবর) লালন শাহ জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দরীবুল্লাহ দেওয়ান, মাতার নাম আমিনা খাতুন। লালন অতি শৈশবে পিতৃ মাতৃ হারা হয়ে ঐ গ্রামেই তাঁর এক আত্মীয় ইনু কাজীর বাড়িতে আশ্রয় লাভ করেন। এ সময় একদিন গোচারনরত অবস্থায় তিনি ক্লান্ত হয়ে রাস্তার পাশে এক গাছের ছায়ায় যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন ঐ পথে গমনকারী কুলবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ সাঁইয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও আলাপ হয়। নিঃসন্তান সিরাজ সাঁই এতিম লালনকে পালক পুত্ররুপে গ্রহণ করার প্রস্তাব দিলে লালন তাতে সম্মত হন। এভাবেই তিনি তার ভাবী জীবনের পথ প্রদর্শক গুরু সিরাজ সাঁই এর সান্নিধ্যে আসেন। সিরাজ সাঁই জাতিতে মুসলমান এবং পেশায় পাল্কী বাহক বেহারা সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। তিনি লালনকে লেখাপড়া শেখাবার চেষ্টা করেছিলেন। লালন লেখাপড়া জানতেন না। নিরক্ষর লালন বিষ্ময়কর তত্ত্বজ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।
লালনকে সিরাজ সাঁই বাউল মতবাদে দীক্ষা দান করেন। তিনিও গুরুর সাহচর্যে ক্রমে উক্ত তত্ত্বের বোদ্ধা রুপে গড়ে ওঠেন। তাঁর ছাব্বিশ বছর বয়সে ১২০৫ সনে (ইংরেজী ১৭৯৮ সালে) সিরাজ দম্পত্তি পরলোকগমন করেন। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি গৃহত্যাগ করে ফকিরী বেশে নবদ্বীপ অভিমুখে গমন করেন। নবদ্বীপ পৌছে তিনি পদ্মাবতী নামে এক বৈষ্ণব বিধবা রমনীর আশ্রয় লাভ করেন যাকে তিনি "মা' বলে ডাকতেন। এখানে তিনি দীর্ঘ সাত বছর অতিবাহিত করেন। লালন নবদ্বীপে যোগী ও তান্ত্রিক সাধকদের ঘনিষ্ট সান্নিধ্যে আসেন। এখানে তিনি বৈষ্ণব শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন, যা তাঁর বাউল মতবাদের উপর প্রভাব ফেলেছিল। ১৮০৫ সালে লালন নবদ্বীপ ত্যাগ করে কাশী, বৃন্দাবন, পুরী প্রভৃতি তীর্থে গমন করেন। এমনিভাবে দশ বছর পরিভ্রমণের পরে তিনি ১৮১৫ সালে নদীয়ায় ফিরে উত্তর বঙ্গের খেঁতুরীর মেলা দেখতে যান। খেঁতুরী থেকে ফেরার পথে তিনি গুটি বসন্তে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া গ্রামে কালীগঙ্গা নদীর পাশে ফেলে রেখে যায়। ঐ গ্রামের তাঁতী সম্প্রদায়ের মলম কারিগর অসুস্থ লালনকে নিজ বাড়িতে নিয়ে মাসাধিককাল সেবাযত্বে সুস্থ করে তোলেন। এ সময়ে তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মলম কারিগর লালন শাহের সাধনা সম্পর্কে জ্ঞাত হবার পর তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে নিজ বাড়ীর ষোল বিঘা জমি লালনকে উইল করে দেন। সেখানেই গড়ে উঠে লালনের আখড়া। লালন শাহের পত্নীর নাম ছিল বিশখা। তাঁর স্ত্রীর নাম সর্ম্পকেও গবেষকগণ একমত নন। তাঁর কবর লালন শাহের কবরের পাশেই অবস্থিত। ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর (১২৯৭সালের ১ কার্তিক) শুক্রবার ভোর পাঁচটায় ১১৬ বছর বয়সে লালন শাহ ছেঁউড়িয়ার আখড়ায় দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে নিঃসন্তান লালন তাঁর স্ত্রী, পিয়ারী নামে এক ধর্মকন্যা এবং অসংখ্য শিষ্য ও ভক্ত রেখে যান।
কবি পাগলা কানাই (১৮৯০-১৮৮৯)
কবি পাগলাকানাই একজন প্রতিভাধর লোককবি ছিলেন। লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের ঐতিহ্যমন্ডিত উর্বর ভূমি ঝিনাইদহের সন্নিকটে লেবুতলা (মতান্তরে বেড়বাড়ী) গ্রামে ১৮৯০ সালের মার্চ (বাংলা ১২২৬ সালের ২৫ফালগুন) মাসে তিনি জম্মগ্রহণ করেন। কুড়ন-মোমেনার তিন সন্তানের মধ্যে পাগলাকানাই ও উজল দু'পুত্র এবং স্বরনারী (মতান্তরে সরনারী) এক কন্যা। ছোটবেলা থেকেই পাগলাকানাই দুরন্ত প্রকৃতির, পাগলাটে স্বভাবের এবং অধ্যাত্ম প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। এ খেয়ালীপনার জন্যে শৈশবে স্মেহবশতঃ লোকে তাঁর নামের সাথে "পাগলা' অভিধাটি যুক্ত করে। তাঁর কর্মকীর্তির সাথে এ পাগলা উপাধিটি অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত হয়েছে।
বাল্যকালে পিতৃহারা হওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন ভবঘুরে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কানাইয়ের লেখাপড়া শেখা সম্ভব হয়নি। পিতার মৃত্যুর পর পাগলা কানাই লেবুতলা থেকে এসে কালীগঞ্জের ভাটপাড়া গ্রামে কিছুকাল অবস্থান করেন। পরবর্তী কালে হরিণাকুন্ডুর বলরামপুর ভরম মন্ডলের বাড়ী কিছুদিন রাখাল হিসেবে কাজ করার পর ভগ্নী স্বরনারীর শ্বশুরালয় বেড়বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এ বেড়বাড়ী গ্রামই প্রকৃত পক্ষে কানাইয়ের কীর্তিধারিণী বলে পরিচিত। বোনের বাড়িতে তাঁর কাজ ছিল গরু চরানো। তিনি গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারীগান গাইতেন এবং উপস্থিত সবাই তাঁর সঙ্গীত মুগ্ধ হয়ে শুনত। এভাবে ধুয়োজারীতে তাঁর হাতে খড়ি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কোন সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও এখানকার তৎকালীন আউল-বাউল, সাধু-ফকির প্রভৃতি গুণীজনের পদচারণা সর্বোচরি জীবন ও জগত সম্পর্কে কবি আত্মার আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-অন্বেষণ তাঁকে প্রখর অধ্যাত্মজ্ঞানে পরিপূর্ণ করে তোলে। তাঁর গানে ইসলাম ও আল্লাহর প্রিয় নবীর প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পায় । পাগলা কানাই নিরক্ষর হলেও তাঁর স্মৃতি ও মেধা ছিল অত্যন্ত প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে একের পর এক গান রচনা করতে পারতেন।
এ পর্যন্ত পাগলা কানাই রচিত গানের মধ্য মাত্র শ'তিনেক সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, ড, মাযহারুল ইসলাম, আবু তালিব, আমিন উদ্দিন শাহ, দুর্গাদাস লাহিড়ী, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য প্রমুখ মনীষীগণ পাগলা কানাইয়ের গানের সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন। এ মহান বাউল কবি ১৮৮৯ সালের জুলাই (১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ়) ইহলোক ত্যাগ করেন।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান (১৯৫৩-১৯৭১)
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের মিছিলে যে সাত জনের আত্মত্যাগ ও বীরত্বে জাতি তাঁদেরকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে ভূষিত করে মরণোত্তর সম্মান দিয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান তাঁদের অন্যতম। ১৯৫৩ সালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে তিনি জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আক্কাস আলী ও মাতা কায়দাছুন নেছা। অতি শৈশব থেকেই বাস্তবতার সাথে তাঁকে প্রতি নিয়ত সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়েছিল। দারিদ্রের নির্মমতা তাকে উচ্চ শিক্ষার পথ থেকে বঞ্চিত করলেও জীবন সংগ্রামী হামিদুর পিছিয়ে থাকতে চাননি। তাই ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। ২৫শে মার্চে ঢাকায় পাকিস্থানী সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর অতর্কিত হামলা চালালে দেশপ্রেমিক হামিদুর রহমান দেশ মাতৃকার মুক্তির স্বপ্নে যোগ দেন মুক্তি বাহিনীতে । অংশগ্রহণ করেন একের পর এক যুদ্ধে।
১৯৭১ এর অক্টোবর। হামিদুর রহমান মুক্তিবাহিনীর সাহসী সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করছিলেন সিলেট শ্রীমঙ্গল এলাকায়। এখানে অবস্থিত ধলই বি,ও,পি,তে পাকিস্থানীদের শক্ত ঘাটি দখল করতে পারলে মুক্ত করা যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ২৮শে অক্টোবর অতি প্রত্যুষে মুক্তিবাহিনী শুরু করল আক্রমন। চা বাগানের ভেতর হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেলেন হামিদুর তাঁর দলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কাইয়ুমের নির্দেশে একটি হালকা মেশিনগান সাথে নিয়ে। শত্রু ঘাটির একেবারে কাছে গিয়ে তিনি আকস্মিক হামলা চালালেন শত্রু দলের উপর। নিহত হল প্রতিপক্ষের অধিনায়কসহ কয়েকজন পাকিসহানী সৈন্য। শত্রু সৈন্যরা পরিস্থিতি সামলে নিয়ে শুরু করল পাল্টা

আক্রমন। কিন্তু হামিদুর রহমান পিছু হটলেন না। প্রাণপণে লড়াই চালিয়ে গেলেন। হঠাৎ একটি বুলেট এসে বিদ্ধ হল তাঁর কপালে। হামিদুর রহমান বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হলেন। পাঁচ দিন অবিরাম যুদ্ধের পর মুক্ত হল ধলই বি,ও,পি। হামিদুর রহমানের আত্মত্যাগ রচনা করল আমাদের মুক্তির পথ। মুক্তিযুদ্ধে বিরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ট খেতাবে ভূষিত হন। সুদীর্ঘ ৩৬ বছর পর তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এবং ১১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে ঢাকার মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এ মহান বীরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিগত ১৪-০১-২০০৮ তারিখে শহীদের নিজগ্রাম খোর্দ্দখালিশপুরের নাম পরিবর্তন করে 'হামিদ নগর' করা হয়েছে এবং হামিদ নগরে তাঁর নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজমাঠে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর সার্বিক সহযোগিতায় ৫৫,৯৮,৩৪০/৪৩ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার । গ্রন্থাগারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ২৩৪৯ টি বই। এটি নির্মানে কারিগরি সহযোগিতা করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন জেলা পরিষদ, ঝিনাইদহ। এছাড়া তাঁর নিজ নামে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় । ঝিনাইদহ জেলা শহরের স্টেডিয়ামটি তাঁর নামে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ তাঁর স্মরনে একটি ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার তাঁর পৈতৃক ভিটায় একটি পাকা বাড়ী নির্মাণ করেছে। এ নির্ভীক অকুতোভয় বীর সৈনিক এদেশের মানুষের হৃদয়ে চির জাগরুক হয়ে থাকবেন।
বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা আফিয়া খাতুন। আর্থিক অসচ্ছলতার জন্যে সিরাজুল ইসলাম লেখাপড়ায় বেশী দূর অগ্রসর হতে পারেননি। ১৯৬৯ সালের ৯ আগষ্ট তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তাঁর সৈনিক নং ল্যান্সনায়েক ৪৯৪৯০৯৬। ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি দেশ মাতৃকার মুক্তিরর লক্ষ্যে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেন। যুদ্ধকালে ময়মনসিংহের কামালপুরে শত্রু বাহিনীর অতর্কিত আক্রমনে এ অসীম সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অকুতোভয় এই বীরের শৌর্যময় বীরত্বের জন্য জাতি তাঁকে ভূষিত করেছে 'বীর প্রতীক' সম্মামনায়। তাঁর বীরত্বগাঁথা এদেশের মানুষের হুদয়ে চির ভাস্কর হয়ে আছে। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে একটি ক্লাব গড়ে উঠেছে।
বাঘা যতীন (১৮৮০-১৯৯৫)
উপমহাদেশে বৃটিশ দখলদায়িত্ব বিরোধী আন্দোলনে যাঁরা পথিকৃৎ, দেশ মাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে যাঁরা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত করে গেছেন এ উপমহাদেশের অগণিত মুক্তিকামী মানুষকে, তাদের মধ্যে বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অন্যতম। তিনি ১৮৮০ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার রিষখালী গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ঊমেশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মাতা শরৎ শশী দেবী। তাঁর পিতা ছিলেন একজন শিক্ষক।
পাঁচ বছর বয়সে তাঁর পিতৃ বিয়োগ ঘটে। এরপর তাঁর মা কন্যা বিনোদবালা ও শিশুপুত্র যতীন্দ্রনাথকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে পিত্রালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি কৃষ্ণনগর এ,ডি,হাইস্কুল থেকে ১৮৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যতীন্দ্রনাথ কলকাতা সেন্ট্রাল কলেজে এফ,এ শ্রেণীতে ভর্তি হন। এ সময় তিনি টাইপ রাইটিং ও শর্টহ্যান্ড শেখেন। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র থাকাকালে পড়াশোনা বাদ দিয়ে আমন টি কোম্পানীতে ষ্টেনোগ্রাফারের চাকুরী নেন। অতঃপর তিনি এ চাকুরী পরিত্যাগ করে মজফফরপুরের ব্যারিষ্টার ও 'ত্রিহুত কুরিয়ার' পত্রিকার সম্পাদক মিঃ কেনেডীর সচিব হিসেবে চাকুরী গ্রহণ করেন। সেখানে মন না টেকায় তিনি পুনরায় কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ইন্দুবালার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।
১৯০৩ সালে তিনি বাংলা সরকারের চীফ সেক্রেটারী মিঃ হুইলার এর ষ্টেনোগ্রাফার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন স্থানে বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এভাবেই তিনি খোদ বৃটিশ সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি বিপ্লবী আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতার দায়ে গ্রেফতার হন এবং এক বছরের জন্য সাজা পান এবং তাঁকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ সময় তিনি গোপনে বাংলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিপ্লবী সংগঠন এবং ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা-বলরামপুরে বিপ্লবীদের ঘাটি গড়ে তোলেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই বাংলা থেকে উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখন্ডের ইতঃস্তত বিচ্ছিন্ন সংগঠনগুলো একই কর্মকান্ডের অধীনে আসে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে জার্মান সরকারের কয়েক জাহাজ অস্ত্র উপমহাদেশের বিপ্লবীদের জন্য সংগৃহীত হয়। কিন্তু পথিমধ্যে জাহাজের অস্ত্র ইংরেজদের হাতে ধরা পড়ে গেলে ইংরেজ সৈন্যরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। অবশেষে রাদারফোর্ডের নেতৃত্বে বৃটিশ বাহিনী বুড়ীবালাম নদীর তীরে তাঁদের উপর চড়াও হয়। দীর্ঘ সময় গুলি বিনিময়ের পর তাঁর সঙ্গী চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী শহীদ হন ও অন্য সবাই বুলেটে জর্জরিত হয়ে বন্দী অবস্থায় বালেশ্বর হাসপাতালে নীত হন। পরের দিন ১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৫ ভোর বেলা গুরুতর আহত যতীন্দ্রনাথ চির নিদ্রায় ঢলে পড়েন। সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ সরকার তাঁর মৃতদেহটিও গুম করে দেয়। তিনি মুক্তিকামী দেশবাসীর স্বপ্নে ও কল্পনায় চিরভাস্কর হয়ে থাকবেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, কন্যা আশালতা ও পুত্র তেজেন্দ্রনাথকে রেখে যান।
তাঁর স্মৃতিতে মাদ্রাজে এবং তাঁর জম্মভূমি ঝিনাইদহে রয়েছে বাঘা যতীন সড়ক, বাঘা যতীন ক্লাব প্রভৃতি।
সর্দার সাখাওয়াতুল্লা (সফতুল্লা)
শৈলকুপা উপজেলায় সর্দার সাখাওয়াতুল্লা জম্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সাধারন কৃষক ছিলেন। বৃটিশ আমলে অত্যাচারী নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করেও ইংরেজদের কাছে মাথা নত করেননি। বৃটিশ শাসন আমলে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নীল চাষ করতো ইংরেজ বেনিয়ারা। ১৮৬০ সালের দিকে এ অঞ্চলে নীল চাষের বিরুদ্ধে নির্যাতিত কৃষকেরা বিদ্রোহ শুরু করে। ১৮৮৯ সালে সিন্দুরিয়া কনসার্নেস অধীন শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া কুঠির আওতাধীন ৪৮টি গ্রামের কৃষকরা নীল চাষ বন্ধ করে দেয়। তারা বিজুলিয়া নীল কুঠি আক্রমন করে। এসব কৃষকদের মধ্যে বসন্ত কুমার, বঙ্কুবিহারী ও সর্দার সাখাওতুল্লা ওরফে সফতুল্লা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সর্দার সাখাওয়াতুল্লা বিজুলিয়ার পাশে খোদবাড়িয়া গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে নীলকররা সাখাওয়াতুল্লাকে ঘোড়ার জিনের সাথে বেঁধে টেনে-হিচড়ে নীলকুঠিতে নিয়ে যায় এবং ৭ দিন নীলকুঠির অন্ধকার প্রকোষ্টে বন্দী রেখে অমানুষিক অত্যাচার করে। পরে কৃষকরা আবার কুঠি আক্রমনের প্রস্তুতি নিলে অত্যাচারী নীলকররা ভয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়।
দুঃখী মাহমুদ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আরাপপুর গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জম্ম গ্রহণ করেন। পেশায় তিনি রিকশা চালক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সম্মুখ সমর-বিষয়খালী প্রতিরোধ যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৬ এপ্রিল ১৯৭১, বেগবতী নদীর তীরে পাক হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কাটা বাংকারে যুদ্ধরত অবস্থায় তিনি শহীদ হন। তাঁর মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শুকচাঁদ শাহ (১৮৮৭-১৯৫০)
হরিণাকুন্ডু উপজেলার চটকাবাড়িয়া গ্রামে ১৮৮৭ সালে (১৩১৪ সন) জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শীতল মন্ডল। শুকচাঁদের আসল নাম শুকুর মন্ডল। ফকিরি মত গ্রহণের পর তিনি 'শুকচাঁদ' নামে পরিচিত হন। বাল্যকালে তিনি কোন বিদ্যালয়ে যাবার সুযোগ পাননি শুকচাঁদ অমূল্য শাহের গানের প্রতি আকৃষ্ট হন। অমূল্য শাহ তাঁকে সঙ্গীত শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি সঙ্গীত গুরু অমূল্য শাহের কাছে দরবেশী দীক্ষা গ্রহণ করেন। শুকচাঁদ অমূল্য শাহের কাছে লালন সঙ্গীতের তালিম নেন। তিনি খোদাবক্সের নিকট থেকেও লালন সঙ্গীতে দীক্ষা নিয়ে একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠেন। শুকচাঁদ শাহ চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে আখড়া তৈরি করেন। শুকচাঁদ শাহের অনেক শিষ্য ছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালে (১৩৫৭সন) ইন্তেকাল করেন। শুকচাঁদের ভাবসঙ্গীতের সংখ্যা অল্প হলেও গুনগত মান অতুলনীয়। তাঁর একটি গানে আছে-
'জানগা আগে মানুষের বেনা
মানুষের নাই জাতির বাড়াই
মানুষ ভজলে যায় রে জানা'।
মোবারক আলী মিয়া (বড় মিয়া)
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও রাজন্যবর্গের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক বলিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত মোবারক আলী বড় মিয়া। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ফয়লা গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কফিল উদ্দিন বিশ্বাস। ১৯৪৩-৪৪ সালে তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ঋণ শালিসি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং যশোর জেলা বোর্ডের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। রাজা পঞ্চম জর্জের রাজত্বকালে পঁচিশ বছর পূর্তি উৎসবে তাঁকে অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ প্রদান করা হয়। মুসলিম নেতা হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি এক বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী থেকে ভূষণ হাইস্কুল কালীগঞ্জে স্থানাস্তর করা হয়। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মোবারকগঞ্জ চিনি কল, মোবারকগঞ্জ রেলষ্টেশন, মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মোবারক আলী সড়কের নামকরণ করা হয়। ১৩৫৯ সালে প্রায় আশি বছর বয়সে এ সিংহপুরুষের জীবনাবসান ঘটে।
কবি সামসুদ্দীন আহমদ (১৯১০-১৯৮৫)
কোটচাঁদপুর শহরে ১৯১০ সালের ৪ এপ্রিল জম্ম গ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে ডাক বিভাগে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। কলকাতার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। প্রথমে তাঁর কবিতা মহিলা ও হিন্দু ছদ্ম নামে ছাপা হতো। তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা ১৯টি। এর ১টি রহস্য উপন্যাস, ৭টি কবিতা গ্রস্থ, ৩টি গানের বই, ১টি গল্প গ্রন্থ, ৬টি ছোটদের বই ও ১টি নাটক। উল্লেখযোগ্য বই 'ছেলেধরা' 'দাঁড়কাক' 'কথার কথা' 'একঝাক পায়রা' 'সামসুদ্দিনের কবিতা' প্রভৃতি। তিনি বেশ কিছু অধ্যাত্ম সংগীত রচনা করেছেন। এ নিবেদিত প্রাণ কবি ১৯৮৫ সালের এপ্রিল মাসে ইন্তেকাল করেন।
মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীঃ
১৯৩১ সালে ঝিনাইদহ উপজেলার মাজদিয়া গ্রামে তিনি জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত বই 'রোজার সওগাত' ও 'ইস্রাফিল'। তাঁর অপ্রকাশিত বই 'মহাসত্যের আলোকবর্তিকা' 'মর্মবাণী' ও 'কুরআন কাব্য'।
কাজী আহসান হাবীব
খ্যাতিমান শিল্পী আহসান হাবীব শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামে ১৯৪৯ সালে জম্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী এলামুল হক। তিনি ঢাকা কলেজের একজন কৃতি ছাত্র হিসেবে ১৯৭২ সালে চারুকলায় স্নাতক হন। মেধা, মনন ও শৈল্পিক অনুভূতির অধিকারী আহসান হাবীবের রং তুলির ব্যবহার ছিল উঁচু মানের। তেল রং, জল রং, এ্যানামেল, এচিং ও মিশ্র মাধ্যমে তাঁর ছিল স্বাচ্ছন্দ্য বিহার। স্বল্প কর্মজীবনে তিনি নিজেকে খ্যাতিমান শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেশে ও বিদেশে তাঁর চিত্র প্রদর্শনীর সংখ্যা ১৫টি। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কারসহ তিনি বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। এ গুণী শিল্পী অকালে ইন্তেকাল করেন।
অমূল্য শাহ (১৮৭৯-১৯৫২)
লালন শাহের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অমূল্য শাহ উল্লেখযোগ্য। ১৮৭৯ সালে (১২৮৬ সন) মহেশপুর উপজেলার নওদাগাঁয়ে জম্মগ্রহণ করেন। পিতা খোশতোন আলী ও মাতা রাহাতন নেছার দু'পুত্র -আমির আলী ও ওয়াকিল আলী। আমির আলী মরমী ভাবসাধনায় ও কণ্ঠসঙ্গীতে অসামান্য দক্ষতা অর্জন করায় তাঁর দীক্ষাগুরু জহুর শাহ কর্তৃক 'অমূল্য' নামে ভূষিত হন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি মহেশপুরের হরিদাস বৈরাগীর কাছে রাগসঙ্গীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। যন্ত্রসঙ্গীতেও তাঁর দক্ষতা জম্মে। কলকাতায় তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন। পরে তিনি বর্ধমান-বীরভূমের বৈষ্ণব-বাউলদের সংস্পর্শে আসেন। তিনি কীর্তন ও বাউল গানের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিয়ারঘাটার খোদাবকশ শাহের আখড়ায় যান। এ আখড়ায় লালন সঙ্গীতের প্রতি তিনি আসক্ত হন। এখানে তিনি লালন সঙ্গীত সংগ্রহ এবং সুর আয়ত্ব করতে মনোনিবেশ করেন। অমূল্য শাহ লালন সঙ্গীতের ও যুগস্রষ্টা পুরুষ। তাঁর সুরেলা আবেগী কন্যা এবং দীর্ঘ ত্রিশ বছর ভাবসঙ্গীত সাধনায় মরমী লালন সঙ্গীত জনপ্রিয় সাঙ্গীতিক মর্যাদা লাভে সমর্থ হয়েছে।
অমূল্য শাহ শুধু সঙ্গীত শিল্পীই ছিলেন না, তিনি একজন গীতিকারও ছিলেন। তাঁর রচিত দু'টি উল্লেখযোগ্য গানঃ

লোকমুখে ছড়িয়ে থাকা তাঁর অসংখ্য লোকসংগীত আজও সংগৃহীত হয়নি। ভাবসঙ্গীতের বিশেষ ব্যক্তিত্ব অমূল্য শাহ (আমির আলী) ১৯৫২ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন।




মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্যের নাম ও নির্বাচনী এলাকা শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগাযোগ ছবি
জনাব মোঃ আব্দুল হাই
জাতীয় সংসদ সদস্য
৮১, ঝিনাইদহ-১
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ


বি,এ
পিতা মৃত ফৈজুদ্দিন মোল্যা
দুঃখী মাহমুদ সড়ক,
আরাপপুর, ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-
মুঠোফোন-০১৭১৭-৪৯৫৫৭৮
ফ্যাক্স-
 
জনাব আলহাজ্জ্ব
মোঃ সফিকুল ইসলাম
জাতীয় সংসদ সদস্য
৮২, ঝিনাইদহ-২
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
মাস্টার্স
পিতা মরহুম আলহাজ্জ্ব
এ বি এম গোলাম মজিদ
এইচ এস এস রোড
কাঞ্চননগর, ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-
মুঠোফোন-
ফ্যাক্স-
 
জনাব
শফিকুল আজম খান চঞ্চল
জাতীয় সংসদ সদস্য
৮৩, ঝিনাইদহ-৩
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
এল,এল, বি (অনার্স), এল,এল,এম
পিতা মৃত সামসুল হুদা খান
মাতা-মোসাঃ জহুরা খানম
গ্রামঃ জলিলপুর
ডাকঃ মহেশপুর
ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-
০৪৫২৫-৫৬২০৬ (অফিস),
০৪৫২৫-৫৬৩১৭ (বাসা)
মুঠোফোন-০১৭১১৩৮৭৭৭৬
ফ্যাক্স-
 
জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান
জাতীয় সংসদ সদস্য
৮৪, ঝিনাইদহ-৪
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
এইচ,এস,সি
পিতা মৃত আলহাজ্জ্ব আমজাদ আলী বিশ্বাস
মাতা- আয়শা খাতুন
গ্রামঃ আড়পাড়া
ডাকঃ নলডাঙ্গা
ঝিনাইদহ।
টেলিফোন- ০৪৫২৩-৫৬৪৭৬
মুঠোফোন- ০১৭১১-৩২৯২১৬
ফ্যাক্স-
 
জনাব নূর জাহান বেগম
জাতীয় সংসদ সদস্য
সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩১৫
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
এস,এস,সি
বাসা নং-০৯,
হোল্ডিং নং-০৯,
শহীদ মশিউর রহমান সড়ক, ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-
মুঠোফোন-০১৭১১৩৯৭১৪৪
ফ্যাক্স-
 

উপজেলা চেয়ারম্যান

নাম ও পদবী
শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগাযোগ ছবি
জনাব কনক কান্তি দাস
চেয়ারম্যান,
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ





বি, কম
শেরে বাংলা সড়ক,
হামদহ, ঝিনাইদহ
মুঠোফোন-০১৯২৫-৫১৬৬৯৯
 
জনাব মোঃ আনারুল আজিম আনার
চেয়ারম্যান
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ





স্নাতক
পিতা মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাস মধুগঞ্জ বাজার, কালীগঞ্জ, ফোন-০৪৫২৩-৫৬১৭৭(অঃ), ০৪৫২৩-৫৬৪৯৬(বাঃ), মুঠোফোন-০১৭১১-২১৭১০০, ০১৭৩৬-৯২৯২৭২
 
জনাব মোঃ ইকরামুল হক
চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)
কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ

৮ম শ্রেণী
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, কোটচাঁদপুর  
জনাব মোঃ ময়জদ্দিন হামিদ
চেয়ারম্যান
মহেশপুর উপজেলা পরিষদ
  চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মহেশপুর  
জনাব মোঃ নায়েব আলী জোয়াদ্দার, চেয়ারম্যান
শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ
  পিতা কছিম উদ্দীন জোয়াদ্দর, ৯০/এ কবি গোলাম মোস্তফা সড়ক, আরাপপুর, ঝিনাইদহ  
জনাব মোঃ মোতাহার হোসাইন,
চেয়ারম্যান
হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ

  চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, হরিণাকুন্ডু  

পৌর মেয়র

নাম ও পদবী
শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগাযোগ ছবি
জনাব সাইদুল করিম,
মেয়র
ঝিনাইদহ পৌরসভা
  পিতা -মৃত রুহুল কুদ্দুস, ইন্দিরা সড়ক, আরাপপুর, ঝিনাইদহ
টেলিফোন- ০১৭৩৩৫৪৭৮১০, ০১৬৭১-৭৬২০৭০
 
জনাব কাজী আশরাফুল
আজম, মেয়র
শৈলকুপা পৌরসভা
  পিতা- মৃত কাজী বদর উদ্দীন হায়দার, কাজীপাড়া, শৈলকুপা
টেলিফোন- ০৪৫২৬-৫৬০১৪, মুঠোফোন-০১৭১১-২৪৪৬৬৯
 
জনাব মোঃ সালাহ্ উদ্দীন বুলবুল সিডল, মেয়র
কোটচাঁদপুর পৌরসভা

বি,এস,এস(অনার্স) টেলিফোন- ০৪৫২৪-৬৫০০৫ মুঠোফোন-০১৭১৩৪১৩৪১৩,
০১৭১৫০০১১৯
ই-মেইল- Kotchandpurpourrashava@yahoo.com
 


জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মেয়র
কালীগঞ্জ পৌরসভা
  পিতা-মোঃ মফিজ উদ্দীন বিশ্বাস, সাং-আড়পাড়া, কালীগঞ্জ
টেলিফোন- ০৪৫২৩-৫৬২২০
মুঠোফোন-০১৭১২-৫৭৪৭২৬
 
জনাব মোঃ আমিরুল
ইসলাম খান, মেয়র
মহেশপুর পৌরসভা

  পিতা-মৃত আবদার রহমান খান, সাং-জলিলপুর,খানপাড়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-০৪৫২৫-৫৬২০৬
মুঠোফোন-০১৭১২-০৪২৫৮৬
 
জনাব শাহিনুর রহমান
মেয়র
হরিণাকুন্ডু পৌরসভা
  পিতা-মজিবর রহমান, সাং-চটকাবাড়ীয়া, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ।
টেলিফোন-০৪৫২২-৭৪০৮৪
মুঠোফোন-০১৮২০-৫৪৪৯২৭



উপজেলা ও উপজেলাওয়ারী ইউনিয়নের তালিকা

ক্রম উপজেলা ইউনিয়ন  
০১ ঝিনাইদহ সদর
সাধুহাটী, মধুহাটী, সাগান্না, হলিধানী, কুমড়াবাড়ীয়া,গান্না, মহারাজপুর, পাগলাকানাই, পোড়াহাটী, হরিশংকরপুর, পদ্মাকর, দোগাছি, ফুরসুন্দি, কালীচরণপুর, সুরাট, ঘোড়শাল, নলডাঙ্গা
০২ কালীগঞ্জ সুন্দরপুর-দূর্গাপুর, জামাল, কোলা, নিয়ামতপুর, সিমলারোকনপুর, ত্রিলোচনপুর, রায়গ্রাম, মালিয়াট, বারবাজার, কাষ্টভাঙ্গা, রাখালগাছি,
০৩ কোটচাঁদপুর সাবদালপুর, দোড়া, কুশনা, বলুহর, এলাঙ্গি
০৪ মহেশপুর এস,বি,কে, ফতেপুর, পান্তাপাড়া, স্বরুপপুর, শ্যামকুড়, নেপা, কাজীরবেড়, বাঁশবাড়ীয়া, যাদবপুর, নাটিমা, মান্দারবাড়ীয়া, আজমপুর,
০৫ শৈলকুপা
ত্রিবেনী,মির্জাপুর,দিগনগর.কাচেঁরকোল,সারুটিয়া,
হাকিমপুর,ধলহরাচন্দ্র,মনোহরপুর,বগুড়া,আবাইপুর,
নিত্যানন্দপুর,উমেদপুর, দুধসর, ফুলহরি
০৬ হরিণাকুন্ডু ভায়না, জোড়াদহ, তাহেরহুদা, দৌলতপুর, কাপাশহাটিয়া, ফলশী, রঘুনাথপুর, চাঁদপুর





ইউনিয়নপরিষদেরসংখ্যাগঠণ
ঝিনাইদহ জেলায় মোট ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। তম্মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১৭টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১১টি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৫টি, মহেশপুর উপজেলায় ১২টি, শৈলকুপা উপজেলায় ১৪টি এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
১জন চেয়ারম্যান, ৩ জন মহিলা সদস্য ও ৯ জন মেম্বর নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত।

কার্যক্রম
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ, ২০০৮ এর আলোকে
১। ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপঃ
(ক) প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়াদি
(খ) জনশৃংখলা রক্ষা
(গ) জনকল্যাণমূলক কার্য সম্পর্কিত সেবা এবং
(ঘ) স্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন

২। উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত প্রধান কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে পরিষদের কার্যাবলী দ্বিতীয় তফসিলে* বর্ণিত হয়েছেঃ
(১) পাঁচশালা ও বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী।
(২) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
(৩) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
(৪) কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
(৫) মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
(৬) কর, ফি, টোল, ফিস ইত্যাদি ধার্যকরণ ও আদায়।
(৭) পারিবারিক বিরোধ নিরসন, নারী ও শিশু কল্যাণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন।
(৮) খেলাধুলা, সামাজিক উন্নতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদান।
(৯) পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
(১০) আইন শৃংখলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন।
(১১) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ।
(১২) সরকারী স্থান, উন্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠের হেফাজত করা।
(১৩) ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় ও সরকারী স্থানে বাতি জ্বালানো
(১৪) বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণ এবং বৃক্ষসম্পদ চুরি ও ধ্বংস প্রতিরোধ
(১৫) কবরস্থান, শ্মশান, জনসাধারণের সভার স্থান ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা।
(১৬) জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থানে অনধিকার প্রবেশ রোধ এবং এইসব স্থানে উৎপাত ও তার কারণ বন্ধ করা।
(১৭) জনপথ ও রাজপথের ক্ষতি, বিনষ্ট বা ধ্বংস প্রতিরোধ করা।
(১৮) গোবর ও রাস্তার আবর্জনা সংগ্রহ অপসারণ ও বাবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
(১৯) অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ।
(২০) মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ।
(২১) ইউনিয়নে নতুন বাড়ি, দালান নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ এবং বিপজ্জনক দালান নিয়ন্ত্রণ।
(২২) কুয়া, পানির উৎসের দূষণ রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য উৎসের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ করা।
(২৩) খাবার পানির উৎসের দূষণ রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানের পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
(২৪) খাবর পানির জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানের নিকটবর্তী স্থানে গোসল, কাপড় কাঁচা বা পশু গোসল করানো নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৫) পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকটবর্তী স্থানে শন, পাট বা অন্যান্য ভিজানো গাছ ভিজানো নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৬) আবসিক এলকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৭) আবাসিক এলাকার মাটি খনন করে পাথর বা অন্যান্য বস্ত্ত উত্তোলন নিষিদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৮) আবাসিক এলাকায় ইট, মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মাণ নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করা।
(২৯) অগ্নি, বন্যা, শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় তৎপরতা গ্রহণ ও সরকারকে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদান।
(৩০) বিধবা, এতিম, গরীব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের তালিকা সংরক্ষণ ও সাহায্য করা।
(৩১) গণশিক্ষা কার্যক্রম, সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন ও উৎসাহ প্রদান।
(৩২) বাড়তি খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
(৩৩) গবাদি পশুর খোঁয়াড় নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
(৩৪) প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা।
(৩৫) ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, আরাম-আয়েশ বা সুযোগ-সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ।
(৩৬) ই-গভর্ণেন্স চালু ও উৎসাহিতকরণ।
(৩৭) ইউনিয়ন পরিষদের মত সদৃশ কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা সম্প্রসারণ।
(৩৮) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে আরোপিত দায়িত্বাবলী।

৩। উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাই থাকুক না কেন, উপ-ধারাসমূহের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করে, সরকার সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত করিতে পারবে।






উপজেলাওয়ারীইউনিয়নপরিষদেরনাম, ঠিকানাযোগাযোগতথ্য


উপজেলারনাম
ইউনিয়নপরিষদেরনামঠিকানা
চেয়ারম্যানেরনাম
মোবাইলনম্বর
ঝিনাইদহ সদর
সাধুহাটী
মোঃ আতিয়ার রহমান

মধুহাটী
মুহাঃ আকবর হুসাইন

সাগান্না
মোঃ আলা উদ্দীন

হলিধানী
মোঃ মসলেম উদ্দীন

কুমড়াবাড়ীয়া
মোঃ হায়দার আলী

গান্না
মোঃ আজিজুর রহমান লিটন

মহারাজপুর
মোঃ আবু বকর
01711930557
পাগলাকানাই
এ.কে.এম. নজরুল ইসলাম
01711394247
পোড়াহাটী
মোঃ শহিদুল ইসলাম হিরণ
01923694532
হরিশংকরপুর
খন্দকার ফারুকুজ্জামান
01911541347
পদ্মাকর
বিকাশ কুমার বিশ্বাস
01713915362
দোগাছি
মোঃ ফয়েজুল্লাহ ফয়েজ
০১৭৩৮-৩১৪০৩৩
ফুরসুন্দি
মোঃ শহিদুল ইসলাম শিকদার
01714440974
কালচিরণপুর
মোঃ আলমগীর হোসেন
01938010491
সুরাট
মোঃ কবির হোসেন জোয়ার্দ্দার
01718089357
ঘোড়শাল
মোঃ পারেভজ মাসুদ
01718086357
নলডাঙ্গা
মোঃ রুহুল বিশ্বাস
01924199030
কালীগঞ্জ
সুন্দরপুর-দূর্গাপুর
মোঃ আলিনুর রহমান
01710783453
জামাল
এম শহিদুল ইসলাম
01711066108
কোলা
মোঃ আইয়ুব হোসেন
01712999926
নিয়ামতপুর
মোঃ সাজেদুল হক লিটন
০১৭১৪৬৩৪৪০৪
সিমলারোকনপুর
মোঃ গোলাম রসুল
01711176211
ত্রিলোচনপুর
মোঃ জয়নাল আবেদীন
01721944550
রায়গ্রাম
মোঃ জহুরুল ইসলাম
01711324121
মালিয়াট
মোঃ আজিজুর রহমান খান
01722219971
বারবাজার
মোঃ জয়নাল আবেদীন
01713911970
কাষ্টভাঙ্গা
মোঃ আলী মোর্তজা রেজা
01714835452
রাখালগাছি
মোঃ মহিদুল ইসলাম
01725547737
কোটচাঁদপুর
সাবদালপুর
মোঃ আজগর আলী
01916000946
দোড়া
মুহা: আব্দুর রাজ্জাক খাঁন
01733074788
কুশনা
মোঃ শরিফুর রহমান
01716152299
বলুহর
মোঃ শাহ আলম
01727029490
এলাঙ্গী
মোঃ মিজানুর রহমান
01727137134
মহেশপুর
এস,বি,কে
সাজজাদুল ইসলাম সাজজাদ

ফতেপুর
মোঃ আবুল কাসেম সরদার

পান্তাপাড়া
মোঃ ইসমাইল হোসেন

স্বরূপপুর
মোঃ জুলফিক্কার আলী

শ্যামকুড়
মোঃ আল-ইমরাম

নেপা
মোঃ ছাদিকুর রহমান

কাজীরবেড়
মোহা: আব্দুল আলী

বাঁশবাড়ীয়া
মোঃ আব্দুল লতিফ

যাদবপুর
মোঃ আজিজুর রহমান

নাটিমা
মোঃ ফকির আহম্মেদ

মান্দারবাড়ীয়া
এস,এম, হোসেন জগলুল পাশা

আজমপুর
মোঃ শাহাজাহান আলী

শৈলকুপা
ত্রিবেনী ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ সেকেন্দার আলী মোল্লা
01732220359
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
ফিরোজ আহমেদ
01712266248
দিগনগর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ তোজাম্মেল হক
01919832676
কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ সালাহউদ্দীন জোয়ার্দ্দার
01711332554
সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ রায়হান উদ্দীন
01712107665
হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা


ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ মতিয়ার রহমান
01711931582
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোস্তফা আরিফ রেজা (মন্নু)
01711455219
বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ নজরুল ইসলাম
01918013220
আবাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ আমজাদ মোল্লা
01712602448
নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ মফিজ উদ্দীন বিশ্বাস
01739694863
উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ সাব্দার হোসেন মোল্লা
01718100588
দুধসর ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ সায়ুব আলী জোয়ার্দ্দার
01716446781
ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদ, শৈলকুপা
মোঃ ফিরোজ বিশ্বাস
01716463215
হরিণাকুন্ডু
ভায়না ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ ইয়াকুব আলী মন্ডল

জোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ নাজমুল হুদা পলাশ

তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ মোজাম্মেল হক

দৌলতপুরইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ আবুল হোসেন

কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার

ফলসী ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ ফজলুর রহমান

রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ আব্দুল কাদের

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
মোঃ আব্দুল মজিদ



জেলার বৃহৎ শিল্পঃ
ক্রঃ নং
শিল্পেরধরণ
শিল্পের নাম ঠিকানাও অবস্থান
মালিকানারধরণ
শিল্পের সংখ্যা
০১
খাদ্য ও খাদ্যজাত চিনি তৈরী শিল্প
মোবারকগঞ্জ চিনিকল, নলডাঙ্গা
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
সরকারী
০১
জেলার মাঝারীশিল্পঃ.
ক্রঃ নং
শিল্পেরধরণ
শিল্পের নাম ঠিকানা ও অবস্থান
মালিকানারধরণ
শিল্পের সংখ্যা
০১
ঔষধ প্রস্ত্তত শিল্প
মডার্ণ ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ
মডার্ণ পাড়া, ঝিনাইদহ।
ব্যক্তি মালিকানা
০১
০২
পাট ও পাটজাত শিল্প
জামান জুট ডাইভারসিভ ফাইভ লিঃ বিসিক, শিল্প নগরী, ঝিনাইদহ
’’
০১
জেলার ক্ষুদ্র শিল্পের খাতওয়ারী সংখ্যাঃ
ক্রঃ নং
শিল্পেরধরণ
মালিকানারধরণ
শিল্পের সংখ্যা
০১
খাদ্য ও খাদ্যজাত
ব্যাক্তি মালিকানা
৬৯০
০২
বস্ত্র শিল্প
,,
১৫
০৩
বনজ শিল্প
,,
১৫০
০৪
ট্যানারী, লেদার এন্ড রাবার প্রোডাক্টস
,,
১২
০৫
প্রকৌশল (ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস)
,,
১৮০
০৬
প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং
,,
৩২
০৭
রসায়ন ও আয়ুর্বেদিক শিল্প
,,
১৫
০৮
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স
,,
০৫
০৯
সেবা মূলক
,,
৩০
১০
বিবিধ
,,
৫২
  মোট =
 
=১১৮১ টি

এক নজরে জেলা




০১
জেলার নাম
  • · ঝিনাইদহ
 

০২
উপজেলার সংখ্যা ও নাম
উপজেলার সংখ্যা-০৬টি
  • · ঝিনাইদহ সদর
  • · কালীগঞ্জ
  • · কোটচাঁদপুর
  • · মহেশপুর
  • · শৈলকুপা
  • · হরিণাকুন্ডু
 

০৩
জেলা ঘোষণার তারিখ
  • · ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪

০৪
অবস্থান
  • · ২৩●.১৫'-২৩●.৪৫' উত্তর অক্ষাংশ ৮৮●.৪৫'-৮৯●.১৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ

০৫
আয়তন ও গঠন
  • · আয়তন ৭৫৮ বর্গমাইল (১২১২.৮০ কিঃমিঃ)
  • · পৌরসভা ০৬টি ( ক শ্রেণী ৪টি, খ শ্রেণী ১টি, গ শ্রেণী ১টি)
  • · ইউনিয়ন ৬৭টি
  • · মৌজা ৯৮১টি
  • · গ্রাম ১১৩৬টি

০৬
জনসংখ্যা
  • · মোট জনসংখ্যা ১৫,৭৯,৪৯০ জন (২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)
  • · পুরুষ- ৮,১৫,৫৭৬ জন, মহিলা- ৭,৬৩,৯১৪ জন
  • · বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৫০%
  • · জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮১০ জন (প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)
  • · গড় আয়ু ৬৯ বছর
  • · আদি বাসি জনগোষ্ঠী- বাগদী, লোহার, মুন্ডা, ভূমিজ, ঘাসী

০৭
প্রাকৃতিক সম্পদ
  • · নদ-নদীর সংখ্যা-১২টি ( আয়তন ১৬৪১.৭৫ হেক্টর)
  • · বিল - ১০৪টি ( আয়তন ১৫৩৫.০০ হেক্টর)
  • · বাওড়-৩৫টি ( আয়তন ১৮৮৯.০০ হেক্টর)
  • · খাল - ৪৩টি ( আয়তন ৩৫৯.৪০ হেক্টর)
  • · পুকুর- ২৭৬৪৯টি ( আয়তন ৩৪৭৩.৪৩ হেক্টর)
০৮
শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • · শিক্ষার হার ৬২%
  • · মহাবিদ্যালয় ৫০টি (সরকারী ০৬, বেসরকারী ৪৪ টি)
  • · ক্যাডেট কলেজ-০১টি
  • · আইন কলেজ-০১টি
  • · কারিগরী কলেজ-০৪টি
  • · স্কুল এন্ড কলেজ- ০১টি
  • · মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৫০টি
  • · (সরকারী ০৩টি, বেসরকারী ২৪৭ টি)
  • · নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৩টি
  • · মাদ্রাসা- ১১৬টি ( দাখিল ৯৩টি, আলিম ১৭টি, ফাজিল ০৪টি, কামিল ০২টি)
  • · ভোকেশনাল-০৪টি
  • · পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট-০৭টি
  • · প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৩৩টি (সরকারী ৪০৭টি, বেসরকারী রেজিঃ ৪১০টি, বেসরকারী আনরেজিঃ ১৬টি)
  • · কিন্ডার গার্টেন- ১০২টি
  • · কমিউনিটি বিদ্যালয়- ৩৭টি
  • · এনজিও বিদ্যালয়-২০০টি
  • · এবতেদায়ী (স্বতন্ত্র)-১৮টি
 
০৯
শিল্প ও কলকারখানা
  • · বিসিক শিল্প নগরী-০১টি
  • · বৃহৎ শিল্প-০১টি
  • · মাঝারী শিল্প-০২টি
  • · ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প-১১৮১টি
 
১০
কৃষি সংক্রান্ত তথ্য
  • · মোট আবাদী জমির পরিমাণ-৩০৮০২৭ হেক্টর
  • · এক ফসলী জমি- ১৯৭৮৪ হেঃ
  • · দুই ফসলী জমি- ৯০২৫৩ হেঃ
  • · তিন ফসলী জমি- ৩৬৭৮১ হেঃ
  • · চার ফসলী জমি- ১০০ হেঃ
  • · ফসলের নিবিড়তা-২১৬%
  • · কৃষি ব্লকের সংখ্যা- ১৬১টি
  • · কৃষি বিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র-১৬১টি
  • · বিএডিসি বীজ ডিলার-৮৯ জন
  • · উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ( বস্নক সুপারভাইজার ১৬৮ জন, কর্মরত ১৫০ জন)
 
১১
খাদ্য শস্য
  • · প্রধান ফসল- ধান, পাট,আখ, কলা পান
১২
মৎস্য সম্পদ
  • · বার্ষিক চাহিদা- ২৭৭২০.০০ মেঃ টন
  • · উৎপাদন- ২৫২৯৭.০০ মেঃ টন
  • · ঘাটতি -২১০৭.০০ মেঃ টন

  • · সরকারী মৎস্য খামার- ০১টি (আয়তন-৩.৩৪ হেক্টর)
  • · বে-সরকারী ২১৩টি (আয়তন-৬৬১.৭৭ হেক্টর)
  • · সরকারী হ্যাচারী ০৪টি, বেসরকারী হ্যাচারী-০৮টি
১৩
প্রাণি সম্পদ
  • · জেলা পশু হাসপাতাল ০১টি
  • · উপজেলা পশু হাসপাতাল-০৬টি
  • · গাভীর খামার -৫৪৫ টি
  • · ছাগল খামার- ১৪৬টি
  • · মুরগীর খামার- ১৬৬৮টি
  • · হাঁস খামার- ৫৬ টি
১৪
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য
  • · জেনারেল হাসপাতাল-০১টি (১০০ শয্যা বিশিষ্ট)
  • · উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স-০৫টি(৩১ শয্যা বিশিষ্ট ০১টি, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ০৪টি)
  • · শিশু হাসপাতাল-০১টি
  • · চক্ষু হাসপাতাল ০১টি
  • · প্রাইভেট ক্লিনিক- ৭৯টি(প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী সহ)
  • · মাতৃমংগল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র-০২টি
  • · ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র-৫৯টি
  • · কমিউনিটি ক্লিনিক-১৬৭টি
  • · শিশু মৃত্যুর হার ৫৪জন( প্রতি হাজারে)
 
১৫
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঝিনাইদহের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত
  • · জাতীয় মহাসড়ক ০৪টি (দৈর্ঘ-৭৫.৫৬ কিঃমিঃ)
  • · আঞ্চলিক মহাসড়ক-০২টি (দৈর্ঘ-৫০.০০ কিঃমিঃ)
  • · জেলা সড়ক (খুলনা জোন) ০৪টি (দৈর্ঘ-২৭৬.৬৪ কিঃমিঃ)
  • · এডিপি সড়ক ০১টি (দৈর্ঘ-৩.৪৭ কিঃমিঃ)
 
১৬
পোষ্টাল সুবিধা
ডাক ঘরের সংখ্যা-৯৮টি
পোষ্টাল কোড
  • · ঝিনাইদহ-৭৩০০
  • · কালীগঞ্জ-৭৩৫০
  • · কোটচাঁদপুর-৭৩৩০
  • · শৈলকুপা-৭৩২০
  • · মহেশপুর-৭৩৪০
  • · হরিণাকুন্ডু-৭৩১০
 
১৭
ভুমি সংক্রান্ত
  • · কৃষি খাস জমির পরিমাণ ৩৮৪৭. ১৩ একর
  • · অকৃষি খাষ জমির পরিমাণ ৭৯০৩.৩৭ একর
  • · বন্দোবস্ত প্রদানকৃত খাস জমির পরিমাণ ৩৬০৩.৮৩ একর
  • · মোট সেন্সাস তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৮৯৫.০৫ একর
  • · ইজারাকৃত অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ ২২৪৫.১২ একর
  • · আবাসন প্রকল্প-২১টি
  • · আশ্রায়ন প্রকল্প-০৪টি।
 
১৮
টেলিযোগাযোগ
  • · ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ০৬টি
  • · টেলিফোন কোড
  • · ঝিনাইদহ ০৪৫১
  • · কালীগঞ্জ ০৪৫২৩
  • · কোটচাঁদপুর ০৪৫২৪
  • · শৈলকুপা ০৪৫২৬
  • · মহেশপুর ০৪৫২৫
  • · হরিণাকুন্ডু ০৪৫২২
 
১৯
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
  • · মসজিদ ২৬৮০টি
  • · মন্দির ৩৬৫টি
  • · গীর্জা ১৬টি
২০
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা
  • · মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহ ৮ নং সেক্টরে ছিল।
  • · ঝিনাইদহের একমাত্র বীরশ্রেষ্ঠ- শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান
  • · বীর প্রতিক- নায়েক শহীদ সিরাজুল ইসলাম
  • · মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা-১৮৩৭ জন( ২০০৫ সনের গেজেট অনুযায়ী)

২১
দর্শনীয় স্থান
ঝিনাইদহ সদর
হরিশংকরপুর
  • · মিয়ার দালান,মুরারীদহ
  • · ঢোল সমুদ্র দীঘি
শৈলকুপা
  • · শৈলকুপা শাহী মসজিদ
  • · কবি গোলাম মোস্তফারবাড়ী,
মনোহরপুর
  • · কামান্না মুক্তিযুদ্ধ শহীদ মিনার
  • · রামগোপাল মন্দির
  • · রাজা হরিশ চন্দ্রের বাড়ী
  • · কাঁচের কোল জমিদারবাড়ী

    হরিণাকুন্ডু
  • · সিরাজ সাঁই এর মাজার, হরিশপুর, জোড়াদাহ
  • · মরমী কবি ফকির লালন সাঁই এর ভিটা, হরিশপুর,জোড়াদাহ
  • · পাঞ্জু শাহ এর মাজার,
হরিশপুর, জোড়াদাহ


কালীগঞ্জ
  • · গাজী কালু চম্পাবতির মাজার বাদুরগাছা,বারবাজার
  • · ঐতিহাসিক গোড়ার মসজিদ বেলাট,দৌলতপুর
  • · গলাকাটা মসজিদ,বারবাজার
  • · জোড় বাংলা মসজিদ, বারবাজার
  • · জাহাজমারী বন্দর, হাসিলবাগ,
বারবাজার
  • · ঐতিহাসিক সাতগাছিয়া মসজিদ, সাতগাছিয়া, কাষ্টভাঙ্গা
  • · ঐতিহাসিক বলু দেওয়ান এর মাজার, ধোপাদি, কাষ্টভাঙ্গা।

   
মহেশপুর
  • · হাট খালিশপুর কাচারী বাগান, এস, বি, কে।
  • · দত্তনগরকৃষিফার্ম,স্বরূপপুর।
  • · শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর
জেলার মানচিত্র
ঝিনাইদহ জেলা ২৩●.১৫³‌‌ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩●.৪৫³ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮●.৪৫³ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯●.১৫³ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর উত্তরে রয়েছে কুষ্টিয়া, পূর্বে মাগুরা, দক্ষিণে যশোর ও পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা। জেলার মোট আয়তন ৭৫৮ বর্গমাইল (১৯৪১.৩৬ বর্গ কিমি)। ঝিনাইদহের বুক চিরে বয়ে চলেছে বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী। এখানকার জলবায়ু উষ্ণ ধরনের সমভাবাপন্ন। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২২●.২৪³ সেলসিয়াস এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৫২.১৯০ সেমি।
ঝিনাইদহ জেলার মানচিত্রঃ







মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. জাজাকাল্লহু খইর। খুব ভাল হয়েছে। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আমীন।

      মুছুন
    2. জাজাকাল্লহু খইর। খুব ভাল হয়েছে। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আমীন।

      মুছুন
  2. জাজাকাল্লহু খইর। খুব ভাল হয়েছে। আল্লাহ আপানকে কবুল করুন। আমীন।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Ultra-fast broadband fund launched by UK government: ইউকে গভর্নমেন্ট কর্তৃক চালু অতি দ্রুত ব্রডব্যান্ড ফান্ড